ইউ এন লাইভ নিউজ: আবারও পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৪২ দিন পর আংশিক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৭দিনের মাথাতে আবারও আগের সিদ্ধান্তেই ফিরছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। গতকাল আর জি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে যে যে বিষয়গুলো উঠেছে সেই প্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট এর দীর্ঘ আট ঘন্টা ধরে চলা জেনারেল বডি (জিবি) বৈঠকের পর এমনিই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা। যদিও পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেননি অনেকেই। উল্টো দিকে একটা বড় অংশ বলেছেন, চূড়ান্ত আন্দোলনে ফিরে সরকারকে চাপে না-ফেললে এই লড়াই জেতা সম্ভব নয়। পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফেরার চাপ তৈরি করতে বৈঠকে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন মহিলা জুনিয়র ডাক্তারেরা। নিজেদের আতঙ্ক, নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এই চিকিৎসক পড়ুয়ারা। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চলা বৈঠকে উঠে এসেছে এমনই নানা ধরনের মতামত। মঙ্গলবার ভোরে জুনিয়র ডাক্তারেরা একযোগে ঘোষণা করলেন, ১০ দফা দাবি না-মেটা পর্যন্ত তাঁরা আবার সব কাজ থেকে সরে থাকবেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য তাঁরা আংশিক কাজে যোগ দিয়েছিল কিন্তু সেখানে তারা দেখল সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ এবং চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ সর্বোপরি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ জুনিয়ার ডাক্তারদের নিগ্রহ। এমনকি ঘটনার ৫২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সিসিটিভি, বাথরুম, ওয়েটিং রুম বিভিন্ন বিষয়গুলো এখনও পুরোপুরি তৈরি করতে পারল না এই জায়গায় পুরোপুরি প্রশাসন ব্যর্থ। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও প্রশাসন সেটা পূরণ করতে পারেনি। সেই কারণেই গতকাল সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর তারা নিজেদের মধ্যে মিটিং করে মনস্থির করেছে আবারও পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরবেন তাঁরা। ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে কর্ম বিরতিতে যাচ্ছে সারা রাজ্য মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
১) দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে অভয়ার ন্যায় বিচার করতে হবে ।
২) স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ অবিলম্বে করতে হবে।
৩) সব হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে রেফারাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে অতি দ্রুততার সহিত।
৪) রাজ্যের সব হসপিটাল গুলিতে ডিজিটালাইজ বেড ভ্যাকেন্সি মনিটর চালু করতে হবে।
৫) অবিলম্বে অত্যন্ত দ্রুততার সহিত সিসিটিভি বসাতে হবে প্রয়োজনীয় ভিত্তিতে।
৬) অবিলম্বে বাথরুমের ব্যবস্থা ও প্যানিক বটম সঙ্গে হেল্পলাইন চালু করতে হবে।
৭) সব হাসপাতাল গুলিতে বেসরকারি ও সিভিক ভলেন্টিয়ার নয় পুলিশি সুরক্ষা দিতে হবে।।
৮) সমস্ত হাসপাতাল গুলিতে অবিলম্বে ডাক্তার-নার্স স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।
৯) অবিলম্বে সমস্ত হসপিটাল গুলিতে থ্রেট কালচার বন্ধ করতে হবে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১০) অবিলম্বে সমস্ত মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
মহালয়ার তর্পণ জুনিয়র ডাক্তারের তরফ থেকে করা হবে, অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে এবং আরজিকর হসপিটালে অভয়ার স্মৃতিসৌধ বসানো হবে। মহালয়ার দিন সকাল বেলায় অর্থাৎ ১১ টার মধ্যে ওই দিনই কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহা মিছিলের ডাক এবং শেষে মহাসমাবেশ হবে ধর্মতলায়। পুজোর দিনগুলিতে কি কি কর্মসূচি থাকবে তা আগামী দিনে বলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট এর পক্ষ থেকে।
Leave a Reply