নির্বাচন এড়িয়ে সভাপতি পদে মনোনয়ন চাইছেন গান্ধীরা! দলেই উঠছে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজনীতির ময়দান। এরই মধ্যে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মনোনয়ন নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে কি আদৌও হবে নির্বাচন? নাকি রিমোট কন্ট্রোল থাকবে সেই সনিয়া গান্ধীর হাতেই? রিপোর্ট অনুসারে, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব, সমস্ত রাজ্য ইউনিটকে ২০ সেপ্টেম্বরের আগে একটি প্রস্তাব পাস করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর হাতেই প্রদেশ সভাপতি মনোনয়নের ভার দেন। এই নির্দেশের পর কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে ফের উঠেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে, দলের অভ্যন্তরীণ কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের, কংগ্রেসের পরবর্তী প্রদেশ সভাপতির নাম মনোনয়ন করার জন্য সনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করতে হবে। তবে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষের জন্য এটি বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত একজন নেতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা রেজুলেশন পাস করার প্রক্রিয়ার অংশ নই। নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তির প্রক্রিয়া ২২ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। স্পিকার পদের জন্য ২৪ থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে এবং ১৭ ই অক্টোবর ভোটগ্রহণ করা হবে। তার আগে রাজ্য নেতৃত্বকে প্রস্তাব পাশ করাতে বলা হয়েছে।প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিকে চলতি মাসের ২০ তারিখের আগে রেজুলেশন পাস করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: কলকাতা বন্দরে ২০০ কোটির হেরোইন আসলে তৃণমূল নেতার! বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

সম্প্রতি কংগ্রেসের সদর দফতরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে, রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি (সিইএ) প্রধান মধুসূদন মিস্ত্রী। এরপরই কংগ্রেসের এই নির্দেশের পর ফের সভাপতি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা। যদিও গান্ধী পরিবারের অনুগামীদের যুক্তি, বিজেপি বা অন্য কোনও দলেই নির্বাচনের মাধ্যমে রাজ্য বা জাতীয় সভাপতি নিয়োগ করা হয় না। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, যে কোনো অবস্থাতেই সংগঠনের ব্যাপারে নেহেরু-গান্ধী পরিবারের গুরুত্ব থাকবেই। এই নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি নির্বাচিত হলেও সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও, রাহুল গান্ধী দলের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকবেন।

আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ড:  এনামুল ঘনিষ্ঠের বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের দুটি অফিস সিল করল সিআইডি