ডেস্ক : মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং প্রয়োজনীয় জিনিসের জিএসটি বৃদ্ধি সহ একাধিক ইস্যুতে বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতরের বাইরে সকালে পথে নেমেছে কংগ্রেস। দিল্লি সহ গোটা দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত মিছিল করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। বিক্ষোভ মিছিলে এসেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা, শশী থারুর সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা-নেত্রী।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলীয় সাংসদরা ‘চলো রাষ্ট্রপতি ভবন’ অভিযানে সংসদ ভবন থেকে যাত্রা শুরু করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবনে পৌঁছবেন। অন্যদিকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা পিএম হাউজ ঘেরাও করতে যাবেন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ সকালে কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। কিন্তু সেটি কিছুটা দূর এগোতেই তা আটকে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সাংসদদের নিয়ে মিছিল করে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। বিজয় চক পৌঁছনোর আগেই তাঁকে এবং অন্যান্যদের আটক করে দিল্লি পুলিস। এদিন রাজধানী দিল্লিতে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। আজ রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ দেখান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রাও। পরে তাঁকেও আটক করা হয়। কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের রুখতে এগিয়ে আসে পুলিস। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বাসে তোলে পুলিস। সাংসদদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এদিনের ঘটনায় রাহুল বলেন, দেশে এখন আর গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্ব চলছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি পাল্টা আঘাত হানে যে কংগ্রেস দলটাই গণতান্ত্রিক নয়। গান্ধী-পরিবার প্রাধান্য দেওয়াই প্রধান বৈশিষ্ট,বলেও কটাক্ষ করে বিজেপি।
Leave a Reply