নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছরের সম্পর্ক শেষ! শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের উপর থেকে নিজের ‘হাত’ সরিয়ে নিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৬ অগস্ট) দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে প্রাথমিক সদস্যপদ-সহ দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। পদত্যাগ পত্রে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস কর্মীদের প্রতি রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
নিজের পদত্যাগ পত্রে তিনি মন্ত্যব্য করেছেন,‘‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস’’।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেছেন,‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া আসলে একটা তামাশা। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের ঠিক মত নির্বাচনই হয়নি।’
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে “অপরিপক্ক-অপরিণত নেতা” দাবি জানিয়ে এবং দলের “পরামর্শমূলক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার” কথা বলেছেন তিন। একজন কংগ্রেস প্রবীণ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। গত ৮ বছরে কংগ্রেসরে করুন অবস্থার জন্যও তিনি রাহুল গান্ধীকেই দায়ী করেছেন।
বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবী আজাদ কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন ঠিক তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন।
আজাদ লিখেছেন,“সম্পূর্ণ সাংগঠনিক নির্বাচন প্রক্রিয়া একটি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনো স্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২৪ আকবর রোডে এআইসিসি চালাচ্ছে যে উপদল, তাদের তৈরি তালিকায় স্বাক্ষর করতে এআইসিসির বাছাই করা লেফটেন্যান্টদেরকে বাধ্য করা হয়েছে।”
তিনি তাঁর পাঁচ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্রের শেষে বলেছেন,”অতএব, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে একপ্রকার বুকে পাথর নিয়ে, সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে আমার অর্ধ শতাব্দীর পুরানো সম্পর্কের সমাপ্তি হল।”
কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা, গুলাম নবী আজাদ ছিলেন জি-২৩ (G-23) বা ২৩ জন কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে একজন। তাঁর নেতৃত্বেই ২০২০ সালে সোনিয়া গান্ধীকে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।