‘সরকার ফেলার চক্রান্ত’, জড়িত অশোক ভট্টাচার্য, কী প্রতিক্রিয়া বাম নেতার

নিউজ ডেস্ক: মণিপুর, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের পর কি এবার বিজেপির নজরে বাংলা? ‘সরকার ফেলার চক্রান্ত’ এবার পশ্চিমবঙ্গে? কালীপুজোর রাতেই সেই জল্পনা উসকে দিয়েছে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তাঁদের উপস্থিতি পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন ‘গেমপ্ল্যান’-এর ইঙ্গিত বলে ধারণা শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতাদের। তবে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এই সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে দাবি করেছেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।

বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘কেউ বাড়িতে এলে তাঁকে কি বের করে দেব?’ এরই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘৩০ অক্টোবর আমার স্ত্রী রত্নার প্রয়ানের এক বছর হবে। সে দিন একটা অনুষ্ঠান আছে তার জন্য বলেছিলাম। সাংসদ জানালেন তিনি আসতে পারবেন না। একই সঙ্গে তিনি দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলেন। আমিও জানালাম। কেউ যদি হঠাৎ এসে শুভেচ্ছা জানান আমি কী তাঁকে ঢুকতে দেবো না। এই অসৌজন্যতা আমি দেখাতে পারব না।’

বিজেপি নেতা ও সিপিআইএম নেতার সাক্ষাতের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের মুখপত্রতে দাবি করা হয়েছে, ‘এই সাক্ষাৎ আসলে সরকার ফেলার চক্রান্ত’। এরপরই শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে আমার ৫৪ বছর হয়ে গেল। আমি ওতো ঠুনকো নই।’ যদিও অশোক ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যকে মানতে নারাজ তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘উনি সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা। আসল কারণগুলো বলে দেবেন তা তো হয় না। তাই উনি এ সব বলছেন।’

আরও পড়ুন : ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ ঋষি সুনকের