নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। দুঘণ্টার মধ্যে জেলবন্দিকে তলব করেছিলেন বিচারপতি। দুপুরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এদিন বিচারপতি একান্তে কথাও বলেন মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তাঁকে চা খাওয়ারও প্রস্তাব দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ নিয়ে মানিকের থেকে নানা কথা জানতে চান বিচারপতি। শেষে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দাবি করেন, বিচারপতি ডাকলেই হাজির হবেন তিনি। বলেন, ”আমি সত্যিটাই বলতে চাই। সত্য সহজ, সত্য সুন্দর।’ শেষে বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে এজলাস ছাড়েন।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছিল। তাতে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সেই নিয়েই মামলায় এদিন মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন বিচারপতি। ওই নিয়োগ নিয়ে অপসারিত প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কী জানেন তা জানতে চান বিচারপতি। জবাবে মানিক বলেন, ‘হুজুর আমি এখন জেলবন্দি। আমার কাছে এখন কোনও নথি নেই। নথি না দেখে এগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে চলে যেতে বলেন। সেই সময়ই মানিক বলেন, ‘ যাওয়ার আগে একটা অনুরোধ করব। এই সংক্রান্ত যে কোনও মামলায় দরকার পড়লেই আমাকে ডেকে পাঠাবেন। ১৫ মিনিট আগে বললেই হবে। আমি চলে আসব। পরে আমার বিরুদ্ধে যাই পদক্ষেপ করা হোক, আমি মেনে নেব। আমি সত্যিটাই বলতে চাই। সত্য সহজ, সত্য সুন্দর।’ আদালতে তিনি একা বলেও হতাশা প্রকাশ করেন এই তৃণমূল বিধায়ক।
এরপরই বিচারপতি ডেপুটি শেরিফের ঘরে মানিক ভট্টাচার্যকে চা পানের প্রস্তাব দেন। একান্তে তাঁরা মিনিট দশেক কথা বলেন।
Leave a Reply