অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান সিবিআইয়ের

নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ দুই ব্যবসায়ীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৬৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বরাবরই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিউটাউনের এক হাসপাতালে বিপুল টাকার বিল মিটিয়ে ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। তাঁর ওই টাকার উৎস জানতেই এবার রাজীব ভট্টাচার্যকে তলব করল কেন্দ্রীয় গেয়েন্দা সংস্থা। বোলপুরের এক অস্থায়ী ক্যাম্পে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এঁদের সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য নিতে পারেন তদন্তকারীরা।

অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরেক ব্যবসায়ী সুজিতকেও এদিন তলব করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এর আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের একটি দল।

গরু পাচারের বেআইনি অর্থের সঙ্গে এদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। সিবিআই ক্যাম্পে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের।

এছাড়াও জমি রেজিস্ট্রি অফিসের কয়েকজনও আধিকরিককেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। নথি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: জাতীয় সঙ্গীতে ভুল! যোগীর রাজ্যে নেই ‘উৎকল বঙ্গ’

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়ি এবং বিভিন্ন রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ব্যাঙ্কের নথি পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা।

সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের কাছ থেকে অনুব্রত ও সায়গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত খবর নিচ্ছেন। ব্যাঙ্কের সমস্ত নথিও খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকর।