নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে উত্তাল বর্ধমান। কার্জন গেট চত্ত্বরে কার্যত তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ ওঠে সিপিএম এর বিরুদ্ধে। পুলিশ এবং বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাম নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজন বাম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছয় যে, কার্জন গেটে বিশ্ব বাংলা লোগো ভেঙে দেয় উত্তেজিত বাম কর্মীরা। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মুহূর্তেই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।
চোর ধরো, জেল ভরো স্লোগান দিয়ে এদিন বর্ধমানের দুটি জায়গায় সভা করে সিপিএম। বড় নীলপুর মোড়ের সভায় ভাষণ দেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় আলাদা একটি সমাবেশ হয়।
আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ অনুপম, তোপ রাজ্য নেতাদের
তারপর জেলাশাসকের অফিসের দিকে মিছিল করে এগিয়ে যেতে থাকে বামেরা। কার্জন গেট চত্ত্বরে মিছিল পৌঁছলেই রাস্তা আটকায় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশ ও বাম কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। বামকর্মী ও সমর্থকরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া কন্যাশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারমূলক হোর্ডিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বামকর্মীরা। বিশ্ববাংলার লোগোও ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ সিপিএম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও।সিপিএম কর্মীদের লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে খবর।
Leave a Reply