ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তছনছ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, মৃত বেড়ে ১৫

নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাতেই বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ল সিত্রাং। একাধিকবার গতিপথ পাল্টে অবশেষে বাংলাদেশের তিনকোণা দ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়তেই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

সোমবার দুপুর থেকে দমকা হাওয়া হয়েছিল দেশের অধিকাংশ এলাকায়। সেই সময় প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটে নড়াইলের লোহাগড়ায়। এরপর রাত বাড়তেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে যায় ঘরবাড়ি, গাছ। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে। দেশজুড়ে মৃত্যু হয় পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ১৫ জনের।

মৃতদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের তলায় চাপা পড়ে এবং অন্য ২ জনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ারের জলের উচ্চতা অনেক বেড়ে যায়। এরপরই চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সন্দীপ ও আনোয়ারা উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় ঝড় ও জলস্রোতের দাপটে অনেক বাঁধ ভেঙে যায়।

সোমবার হাঁটু থেকে কোমরসমান জলে ডুবে যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় চাষের জমি, ঘরবাড়ি, দোকানপাট, রাস্তাঘাট। বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয় বহু এলাকায়। ভোরের দিকে বৃষ্টি ঝরিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এরপর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে বাংলাদেশে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন : হোয়াটসঅ্যাপের সার্ভার ডাউন, থমকে গেল পরিষেবা