নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ব্যক্তিগত কাজ সেরে মুম্বই ফিরছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। জাতীয় সড়কে মার্সিডিজের স্পিডোমিটারের কাঁটা লাফিয়ে ১০০ পার। পালঘরে সূর্য নদীর উপর ব্রিজে উঠতেই গাড়ির বেগ বাড়ল আরও বেশি । একটি গাড়ি কাটিয়ে এগোতেই ঘটল অঘটন। ডিভাইডারে ধাক্কা মার্সিডিজের। সেই দুর্ঘটনাতেই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে জীবনাবসান সাপুরজী-পালোনজি গোষ্ঠীর অন্যতম কর্ণধার এবং টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মুম্বইয়ের বিখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট অনাহিতা পাণ্ডলে। আরোহী হিসেবে গাড়িতে পিছনের সিটে বসেছিলেন সাইরাস। এবার এই বিখ্যাত গাইনোকোলজিস্ট অনাহিতা পাণ্ডলের নামেই একাধিক ধারায় দায়ের করা হল মামলা।
দুর্ঘটনার দীর্ঘ ২ মাস পর পালঘরের কাসা থানায় দায়ের করা হয়েছে এই মামলা। অনাহিতার বিরুদ্ধে ধারা ৩০৪-A (অবহেলার কারণে মৃত্যু), ধারা ২৭৯ ( বেপরোয়া ড্রাইভিং), ধারা ৩৩৬ (অন্যের জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন করা) -তে মামলা হয়েছে।
দীর্ঘ ২ মাস ধরে মুম্বাইয়ের স্যার এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ছিলেন অনাহিতা এবং তাঁর স্বামী দারিয়াস পাণ্ডলে। বর্তমানে হাসপাতাল থেকে দারিয়াসকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, এখনও চিকিৎসাধীন অনাহিতা। একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে।ফিজিওথেরাপি চলছে। তবে, হাসপাতাল সূত্রের দাবি শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন: ব্যাটে-বলে কোহলিময় সোশ্যাল মিডিয়া, মেলবোর্নে জন্মদিনের কেক কাটলেন বিরাট
পাণ্ডলে পরিবার মিস্ত্রি পরিবারের বহু পুরনো বন্ধু। বিশেষত সাইরাসের। একজন জনপ্রিয় গাইনোকোলজিস্ট ছাড়াও জিও পার্সি সংস্থার কর্ণধার তিনি। একইসঙ্গে বেআইনি হোর্ডিয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচারও চালাতেন তিনি।
Leave a Reply