নিউজ ডেস্ক: একদিকে ধর্মঘটীদের ধর্মঘট সফল করার মরিয়া চেষ্টা অন্যদিকে বনধ বানচাল করতে তৎপর প্রশাসন। এই নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উত্তেজনার পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আগেই ধর্মঘট ডেকেছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কার্যত হুঁশিয়ারি দেয় সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, কাজে যোগ না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। কিন্তু নবান্নের সেই বিজ্ঞপ্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
এদিন ধর্মঘটীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “যিনি কর্মজীবনে ছেদের অর্ডার দিয়েছেন, তাঁর শিক্ষার অভাব। তা সত্ত্বেও বলছি, পারলে চাকরিতে ছেদ করে দেখান, তাহলে আদালতে যেতে হবে।” আন্দোলনকারীদের কথায়, “সরকার বলছে চাকরি ছেদ করব। কবে করবে? অবসরের সময়। তখন এই সরকারই থাকবে না।”
এদিকে এদিন সকালে ফের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বকেয়া ডিএ প্রদানের সপক্ষে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
এরপরেই শাসকদলের একাংশ মনে করছে, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
Leave a Reply