নিউজ ডেস্ক: হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের শাড়ি-গহনা ও সম্পত্তির। এমনি অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মন্দিরের সেবায়েত ও ভক্তদের একাংশ। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভাশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির কাছে ইডি তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন মামলাকারীরা।
মামলাকারীদের অভিযোগ, কালীপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর উদ্দেশে কয়েক হাজার শাড়ি ও বিপুল গয়না দিয়েছিলেন ভক্তরা, তার নাকি কোনও হিসেব নেই। এর পাশাপাশি মন্দিরের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তিরও হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার গত কয়েক বছরে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন খাতে উন্নতির জন্য ১৩০ কোটি টাকা দিয়েছিল। কেন্দ্র ২০ কোটি টাকা দেবে বলে ঘোষণা করেছিল। এই টাকার হিসেব নেই বলেও পিটিশনে উল্লেখ করেছে মামলাকারীরা। এছাড়াও অভিযোগকারীদের দাবি, প্রায় কুড়ি বছর বাদে মন্দিরের ট্রাস্টের যে ভোট হয়েছিল, তাতেও অনিয়ম হয়েছে। এছাড়াও মূল মন্দির চত্বরে গেস্ট হাউসের নীচের দোকান বণ্টন পদ্ধতিতেও অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথ: ২০২৩-এর মধ্যে সম্পূর্ণ হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কোথাও কোনও অনিয়ম হয়নি। সমস্ত কিছুর যথাযথ হিসেব রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর দক্ষিণেশ্বর মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে।
Leave a Reply