নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি সহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ইস্যুতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা হতেই পারে, আদালতেও চলতে পারে আইনি লড়াই। কিন্তু কখনই ব্যক্তি আক্রমণ করা যাবে না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তি আক্রমন করেন কৌস্তভ বাগচী। তারপরেই কড়া বার্তা দিয়েছে দিল্লি। কার্যত কৌস্তভকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছেন দিল্লি নেতৃত্ব জানিয়েছে, কৌস্তভ নিজেক সংশোধন না করলে তাঁকে মুখপাত্র সহ সব পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেবে দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রণ কোনভাবেই বরদাস্ত করবে না, এ কথা স্পষ্ট জানিয়েছে দিল্লির কংগ্রেস হাইকমান্ড। এর আগে হাইকোর্ট চত্বরে এআইসিসি নেতা পি চিদম্বরমের সঙ্গে দলের শৃঙ্খলা ভেঙে অসৌজন্যমূলক ব্যবহারের পরেও কৌস্তভকে সতর্ক করা হয়েছিল। এবার দিল্লি আরও কড়া মনোবাব নিয়েছে।
দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, বামেরা কংগ্রেসের স্বাভাবিক বন্ধু নয়। দিল্লির বক্তব্য, বামেরা কংগ্রেসের স্বাভাবিক বন্ধু নয়। আঞ্চলিক সমীকরণের সাময়িক সহযোগী। এই বামেরাই ইউপিএ ওয়ান থেকে সমর্থন তুলে সরকার ফেলতে গিয়েও পারেনি। সেদিক থেকে তৃণমূল সম মনোভাবাপন্ন। পরের লোকসভা নির্বাচনের পর বিকল্প সরকারের সুযোগ এলে কংগ্রেস-তৃণমূল কাছাকাছি আসতেই পারে। তার জমি যেন নষ্ট না হয়। তাছাড়া বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলায় তৃণমূলই কার্যকরী শক্তি। শুধু সোনিয়া, রাহুল নন, খাড়গে, চিদম্বরম-সহ বহু সিনিয়রই এবিষয়ে একমত।
রাজ্য কংগ্রেসেরও একটা বড় অংশ কৌস্তভের আচরণের তীব্র সমালোনা করেছেন। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “উনি আমিত্বে ভরা উগ্র রাজনীতি করেন। প্রচারে থাকতে নানা কাণ্ড করেন। এভাবে কংগ্রেসে বেশিদিন চলবে না।
Leave a Reply