অহনা ঘোষ ও শিমলিন দাস- সোনাসহ ধাতুর অলঙ্কারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি যদি কোথাও দেখা যায় তা হল ভারতে। প্রাচীন ভারতে বহু হাজার বছর ধরে পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে অলঙ্কার ব্যবহার করে এসেছে। বহু নিদর্শন দেখা যায় ভাস্কর্যে ও পুরাত্ত্ব শিল্পকর্মে। এখন মানুষ অনেক আধুনিক হয়েছে, তবু অলঙ্কারের প্রতি একটা আলাদা টান থেকেই গিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ভারতীয়দের গৃহস্থে যে পরিমাণ সোনা রয়েছে, সেই পরিমাণ সোনা কোনও ধনী দেশের রিসার্ভেও নেই। সোনা বা রুপোর অলঙ্কার নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে যে একটা আবেগ রয়েছে, তা আর কোনও দেশের নাগরিকদের মধ্যেও নেই।
ভারতীয়দের অলঙ্কার ব্যবহারের সঙ্গে নিবিড় যোগ রয়েছে, পুজো ও উৎসবের। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ধনসঞ্চয়েরও একটা নির্দিষ্ট তিথি রয়েছে। তাই বেশ কিছু পুজো পার্বনের সঙ্গে সোনার অলঙ্কারের বিকিকিনি যোগসূত্র রয়েছে প্রচীন কাল থেকে। ধনতেরস এমনই এক উপলক্ষ। এই দিনকে মাথায় রেখেই অতি ক্ষুদ্র পরিমাণ হলেও সোনা কিনতে দেখা যায় ক্রেতাদের।
সোনা বা রুপোর গয়না কেনার চাহিদা প্রায় সারা বছরই থাকে। বিয়ের মরসুম যেমন রয়েছে, তেমন বিশেষ পুজো পার্বনও ক্রেতাদের ভিড় থাকে জুয়েলার্সগুলিতে। সুরভি ম্যানশনের তরফে শুধু ধনতেরস নয়, প্রায় বছরই থাকে ক্রেতাদের জন্য রাখছেন বিশেষ গিফ্টের ব্যবস্থা। তাঁরা মনে করেন, ক্রেতারাই তাঁদের কাছে আসল লক্ষ্মী।
Leave a Reply