বিয়ারের বোতলের রং সবুজ ও বাদামি হয়ে থাকে: জানেন কেন?

নিউজ ডেস্ক: সুরাপ্রেমীদের কাছে গরমের দিনে ঠাণ্ডা বিয়ারের চেয়ে প্রিয় আর কিছুই নেই। যেকোনও বিয়ারের বোতলে দেখা যায় সবুজ বা বাদামি রং। কিন্তু বিয়ারের বোতল শুধুমাত্র এই দুই রঙেরই হয় কেন? এই প্রশ্ন অনেকের মাথাতেই এসেছে হয়ত। আসলে সবার প্রথমে বিয়ার তৈরি হত মিশরে। ১৯ শতকের গোড়া থেকে বিয়ার বোতলবন্দি করা শুরু হয়। তখন কিন্তু বিয়ার রাখা হত স্বচ্ছ বোতলেই। তবে হঠাৎই এল পরিবর্তন। কিন্তু কেন বিয়ার বাদামি বা সবুজ ছাড়া অন্য কোনও রঙের বোতলে রাখা হয় না? কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা রয়েছে? নাকি রয়েছে কোনও ইতিহাস?

আরও পড়ুন: এলন মাস্ক এভরিথিং অ্যাপ: কী এই অ্যাপ? বানানোর কারণই বা কী? জানুন বিস্তারিত

প্রথমদিকে বিয়ার কাঁচের স্বচ্ছ বোতলে রাখা হত। প্রস্তুতকারকরা মনে করতেন স্বচ্ছ বোতলেই বিয়ারের স্বাদ, গন্ধ ঠিক থাকবে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে দেখা গিয়েছিল নানারকমের সমস্যা। আসলে, স্বচ্ছ বোতলে রাখা বিয়ার খুব সহজেই সূর্যের সংস্পর্শ পায়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিও অনায়াসে প্রবেশ করতে পারে ওই বোতলের মধ্যে। যার ফলে, কিছুদিনের মধ্যেই বিয়ারের স্বাদ, গন্ধ পরিবর্তিত হয়ে যায়। বিয়ার টক হয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়, ফলে তা আর পান যোগ্য থাকেনা। এই কারণেই স্বচ্ছ বোতলে বিয়ার রাখা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবর্তে বাদামি রঙের বোতলে শুরু হয় বিয়ার রাখা। বেশ কয়েকদিন পরীক্ষা করে দেখা যায়, বাদামি রং গাঢ় রং হওয়ায়, তা দিয়ে অতি বেগুনি রশ্মি অপেক্ষাকৃত অনেক কম পরিমানে প্রবেশ করে। আর তাতেই দীর্ঘদিন ভালো থাকছে বিয়ার। এখান থেকেই শুরু হল বাদামি বোতলে বিয়ার বিক্রি।

আরও পড়ুন: জিও-র পর এয়ারটেল! ৮ শহরে চালু ভারতী এয়ারটেলের 5G পরিষেবা

বাজারে বিশ্ব জুড়ে যখন বিয়ারের চাহিদা অনেক বাড়তে থাকল, তখন বাদামি রঙের সঙ্গে ধীরে ধীরে এল সবুজ বোতলের চল। সবুজও যেহেতু গাঢ় রং, তাই বিয়ার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এটিও কার্যকরী। সবুজ বোতল তৈরির আরও এক কারণ হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বাজারে বাদামি কাঁচের দাম ও চাহিদা দুইই বেড়ে যায়। তাই সবমিলিয়ে সেই সময় থেকেই চলতে লাগল সবুজ ও বাদামি রঙের বোতলে বিয়ার রাখার চল। যা এখনও বিদ্যমান। বর্তমানে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান সবই উন্নত হয়েছে। তাই বেশিরভাগ বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থা এখন কাঁচের বোতলের গায়ে অতি বেগুনি রশ্মি রোধক পদার্থ লাগিয়ে দেন। তাতে বিয়ারের স্বাদ আরও বেশি দিন ভালো থাকে।