নিউজ ডেস্ক: ভোটে কালো টাকার ব্যবহার আটকাতে এবার সরকারের কাছে সুপারিশ করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার রাজনৈতিক দলগুলির নগদ অনুদানকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়ে আইনমন্ত্রকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুকে পাঠানো চিঠিতে রাজনৈতিক দলগুলির মোট অনুদানের মধ্যে নগদ অনুদান ২০ শতাংশ অথবা ২০ কোটি টাকা যেটা কম হবে, তাই নির্ধারণ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই কারণে নির্বাচনী আইন ও বিধিতেও সংশোধন আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে নগদ অনুদানের ঊর্ধ্বসীমা সংক্রান্ত আয়কর আইন এবং ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনের মধ্যে বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে। জন প্রতিনিধিত্ব আইনের ২৯-সি ধারায় বলা হয়েছে, অনুদান ২০ হাজার টাকার বেশি হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে শুধুমাত্র চেক বা অন্য কোনও ব্যাঙ্কিং মাধ্যমে দেওয়া অনুদানের বিবরণ জানাতে হবে। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন চাইছে অনুদানের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে কমিয়ে ২০০০ টাকা পর্যন্ত করতে। ফলে ২৯-সি ধারাতেও পরিবর্তণ আনতে চাইছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন চায় নির্বাচনী খরচ পরিচালনার জন্য প্রার্থীরা আলাদা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলুক। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন প্রয়োজন। যা করতে গেলে ১৯৬১ সালের নির্বাচনী বিধির ৮৯ ধারা সংশোধন করতে হবে। এছাড়াও ডিজিটাল লেনদেন কিংবা অ্যাকাউন্টে প্রাপকের চেক স্থানান্তর বাধ্যমূলক করা উচিত।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি: মসনদ দখলের লড়াইয়ে অশোক-শশী, ব্যাটন কি হাতছাড়া রাহুলের?
এছাড়াও ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট সংশোধনেরও প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই আইন ভেঙে বিদেশি অনুদান যাতে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে না পৌঁছয় তাও নিশ্চিত করতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান বিধিতে প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশি অনুদান আলাদা করার কোনও ব্যবস্থা নেই।
Leave a Reply