মাদক ও যৌন ব্যবসার রমরমা ছিল রিসর্টে, অঙ্কিতা রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিউজ ডেস্ক: অঙ্কিতা ভান্ডারির রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম উত্তরাখণ্ড। খুনের অভিযোগ উঠেছে হরিদ্বারের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিতের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রশাসন। তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশের পরই সামনে এসেছে রিসর্টের প্রাক্তন কর্মীদের বয়ান।

মঙ্গলবার অঙ্কিতার খুনের মামলায়, ঋষিকেশের AIIMS -এর পক্ষ থেকে তদন্তকারী SIT-এর কাছে চূড়ান্ত পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে। এসআইটির সূত্রের খবর, রিপোর্টে স্পষ্ট, খালে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অঙ্কিতার। তবে তাঁর শরীরে তিন থেকে চারটি আঘাতের চিহ্ন মেলায়, ভুল প্রমাণিত হয়েছে অভিযুক্তদের বক্তব্য। অভিযুক্তরা জানিয়েছিলেন, অঙ্কিতাকে মারধর করেননি তাঁরা।

অন্যদিকে, রিসর্টের প্রাক্তন কর্মচারী বিবেক ও ঈশিতা অভিযোগ করেছেন, পুলকিতের মালিকানাধীন রিসর্টে মাদক ও যৌন ব্যবসার রমরমা ছিল। রিসর্টের মালিক মহিলা কর্মীদের উপর গ্রাহকদের ঘরে যাওয়ার জন্য জোর করতেন। তাতে রাজি না হলে, চুরির অভিযোগ এনে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হত। লাইসেন্স ছাড়াই মদ, গাঁজা মজুত করে গ্রাহকদের কাছে দ্বিগুণ দামে বিক্রিও করা হত রিসর্টের পক্ষ থেকে।

গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যান অঙ্কিতা। এরপরই নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর চাল্লি খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়। তারপরই ঋষিকেশ এইমসে তরুণীর ময়নাতদন্ত করা হয়। তদন্তে নেমে হরিদ্বারের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিত, তাঁর বন্ধু সৌরভ ও অঙ্কিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: রাহুল-সনিয়ার অস্বস্তি বাড়িয়ে সভাপতির দৌড়ে থাকবেন কি গেহলট, প্রশ্ন দলে