ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: সিসি টিভি ক্যামেরার পর এবার মাদক প্র্রতিরোধী যন্ত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর বিশৃঙ্খলার কথা এখন জনসমক্ষে প্রকাশিত। বিশেষত সদ্য ঘটে যাওয়া নদিয়ার গ্রামের ছেলে স্বপ্নদ্বীপ-এর অসহনীয় রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের ‘উন্মুক্ত চিন্তা’ র নামে ‘বিশৃঙ্খলা’ জনগণের কাছে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে।
এই রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ প্রশাসন কর্তৃক নেওয়া নানান পক্ষেপের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ক্যাম্পাসে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো। আর তাতেও শিক্ষার্থীদের অনেকাংশের বিক্ষোভ, আপত্তি আজও বিরাজমান। ক্যাম্পাসের ভেতরে শিক্ষার্থীদের মদ্যপান, মাদক দ্রব্য গ্রহণের একাধিক প্রমান মেলে এমনকি তারা সগৌরবে সেকথা স্বীকারও করে ‘সেকেন্ড হোম’ এ ব্যাক্তি অধিকার হিসেবে। সেই ‘সেকেন্ড হোম’-এই রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু ঘটে গেল এক ছাত্রের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বপ্নদ্বীপ এর মৃত্যুর অপরাধে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার ১৩ জন.
তারপরেও শিক্ষার্থীদের একাধিক অবাধ নিন্দাজনক আচার আচরণের নজির মেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এর সদ্য করা মন্তব্য থেকে এই অভ্যাস পাওয়া যাচ্ছে যাদবপুরের প্রতি দরজায় দরজায় উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা চলছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা মাদক নিয়ে ঢোকার পথেই বাধাপ্রাপ্ত হয়. আর এইভাবেই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছেন যাদবপুর কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন “দেশে নার্কোটিক্স আইন আছে। সেই আইনের মধ্যে থেকেই আমরা যা করার করবো। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, করা হবে.”
মাদক রোধ করার জন্য বিমানবন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার দপ্তরে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্র বসানো থাকে। সেক্ষেত্রে কেউ মাদক নিয়ে প্রবেশ করলেই তা ধরা পরে। সেই একই পদ্ধতি কার্যত হওয়ার সম্ভাবনা যাদবপুরেও। বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিটি প্রবেশদ্বারে এই যন্ত্র বসানোর চিন্তাধারা চলছে। এইরূপ ব্যবস্থাপনা কর্তৃক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করায় আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply