Durand cup 2022: জুটে গেল পয়েন্ট, ড্র দিয়ে মরসুম শুরু ইস্টবেঙ্গলের 

স্পোর্টস ডেস্ক: স্পনসর ইমামিকে পেয়ে দেরিতে দল সাজানো। দেরিতে বিদেশী ফুটবলার আনা। বেশি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে না পারা। সেইসব নিয়ে ডুরাণ্ড কাপে খেলতে নামা। এতে যা হয়, তাই হয়েছে।

প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট মিলল  আর্মি একাদশের সঙ্গে ড্র (0-0) করে। মোহনবাগানের মত হারতে হয়নি। কিন্তু মহামেডান স্পোর্টিং এর মত খেলার ৪০ শতাংশও দিতে পারেনি লাল – হলুদ ব্রিগেড। 

আর এই বড় দলের কোচ কনস্টেনটাইন বুঝে গেলেন কত ঘাম তাকে ঝরাতে হবে। তাল – মিল – লয় ছন্নছাড়া। তাতেও তাঁর দলের ছেলেরা সুযোগ তৈরীও করলেন। আবার সেইসব সুযোগ নষ্টও হল। তা নাহ হলে  খেলার স্কোরলাইন অন্যরকম দেখাতো। 

নতুন দলকে হতে নিয়ে খুব একটা তৈরি করার সুযোগ পাননি ব্রিটিশ কোচ। এমন পরিস্থিতি যে সামনে আছে, সেটা জানেন।  বিদেশীদের সকলে খেলাতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রথম নাহ হেরে গিয়ে  ১ পয়েন্ট পেয়ে খুব একটা হতাশ নন লাল-হলুদ কোচ। 

বরঞ্চ খেলার শুরুতে ও শেষে যে দাপট দেখিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সুযোগ তৈরি হয়ে ছিল। কিন্তু  অসংখ্য সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়েই জয় হাতছাড়া হয়েছে।  ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভিপি সুহের, অঙ্কিত যাদব,অমরজিৎ সিং, অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়দের। 

মাচের শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে আর্মি এলাকায়।  চাপ বাড়তে থাকে ইন্ডিয়ান নেভির উপর। ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের ম্যধ্যে ৩ বার গোল করার মত সুযোগ এসে গিয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের সামনে। কিন্তু গোলের হদিশ মেলে নি। 

ম্যাচের ১১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের  মহেশ নাওরেম। তার পরিবর্তে নামেন তুহিন দাস। ১৫ মিনিটে অমরজিৎ সিংয়ের জোরালো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।  ম্যাচের ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর কয়েকটি  আক্রমণ তৈরি  করেছিল স্টিফেন কনস্টেনটাইনের দল। তখন বেশ চনমনেও লেগেছিল দলটিকে।  তারই মাঝে দু-একবার লাল-হলুদ রক্ষণকেও সমস্যায় ফেলেছিল আর্মি আক্রমন । 

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই ৫২ মিনিটে কর্ণার পায় ইস্টবেঙ্গল। সুহেরের কর্নারকে কাজে লাগাতে পারেননি অ্যালেক্স লিমা। এর একমিনিট পরই  দুর্ধর্ষ শট নেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সুমিত পাসির। দ্বিতীয় পোস্টে লেগে বল বেরিয়ে যায়।   কনস্টেনটাইনের ছকে এরপর একসঙ্গে জোড়া পরিবর্তন করেন লাল-হলুদ কোচ। মাঠে নামেন মহীতোষ আর শুভাশিস।

ম্যাচের সেরা সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়। ৭৪ মিনিটে সেরা – সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন সুমিত। গোলকিপারকে একা পেয়েও জালে বল পাঠাতে পারেননি।  ৮২ মিনিটে তুহিনের ডিফেন্স চেরা দুর্দান্ত পাসে পাসি ও সুহের বলে পা ঠেকাতে পারলেই নিশ্চিত গোল ছিল। আবার মিস ! 

এরপর শেষের দিকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খোলেনি। ম্যাচে ডিফেন্সে ফাঁকফোকর, মাঝমাঠে বোঝাপড়ার অভাব থেকে আক্রমণে ঝুরি ঝুরি মিস। 

ছবি: সৌ টুইটার।