Sheikh Shajahan: ভুয়ো মাছ ব্যবসায়ীদের নাম জমি, কয়েকশ কোটির নয়ছয়! শাহজাহনের বিরুদ্ধে নয়া দাবি ইডির

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: চমকের পর চমক। শেখ শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনাতে কয়েকশ কোটি টাকার ( ১০৪+ ৩৩ কোটি= ১৩৭ কোটি ) নয়ছয়! শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনা ফিশারিজে ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছে ম্যাগনাম এক্সপোর্ট নামে কোম্পানি থেকে, এটা ঢুকেছে ২০২১-২২ এবং ২০২২- ২৩ সালে।

শাহজাহান ঘনিষ্ঠের থেকে শাজাহানের কোম্পানিতে ৩৩ কোটি টাকা ঢোকে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে। মোট ১৩৭ কোটি টাকা কোথা থেকে কি জন্য ঢুকেছিল কোম্পানিতে? এতো কোটি কোটি লেনদেন মধ্যে কালো টাকা সাদা হত? এই ঘটনার তদন্তে ইডি। শেখ শাজাহানের সিন্ডিকেটের ১১ জন ভুয়ো মাছ ব্যাবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল ও ম্যানেজ করতেন শেখ শাজাহান নিজেই – এমনটাই দাবি ইডির।

জমি দখল, ভেড়ি দখলের অভিযোগ তো ছিলই, কিন্তু শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি-রফতানি সংক্রান্তও একটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এবং সেই মামলার তদন্তে নেমেই উঠে আসে শাহজাহানের চিংড়ি প্রীতির কথা! তদন্তকারীদের দাবি, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালেই লক্ষ লক্ষ কালো টাকা সাদা করছেন শেখ শাহজাহান। তদন্তকারীরা তল্লাশিতে জানতে পেরেছেন, শেখ শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের যোগান আসতো অন্যের দখল করা ভেরি থেকে। মাত্র ১০ শতাংশ মাছ আসতো তাঁর নিজের ভেরি থেকে। বাকি ৫০ শতাংশ মাছ তিনি কিনতেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

তদন্তকারীরা আরও জানান, এইভাবেই শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে থেকে টাকা ঢুকেছে আবু সিদ্দিক হাফিজিয়া ট্রাস্টের নামে। এই ট্রাস্টটি শাহজাহানের বাবার নামে। জমি দখলের কালো টাকা সাদা হয়েছে ট্রাস্টের মাধ্যমে। ট্রাস্টের নামে কেনা হয়েছে একের পর এক সম্পত্তি। ইডি নজরে শাহজাহানের বাবার নামে ট্রাস্ট।