ইউ এন লাইভ নিউজ: নির্বাচন কমিশনকে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রতিটি বুথের ভোটদানের পরিসংখ্যান প্রকাশ করতে হবে না। শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে।
বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মাঝে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো যাবে না।” এই বিষয়ে শীর্ষ আদালতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আবেদন করেছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর। এদিন সেই আবেদনটি স্থগিত করে দিল অবকাশকালীন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানিয়েছে, আসলে ২০১৯ সালে এই বিষয়ে মূল আবেদনটি করা হয়েছিল, তার সাথে এই আবেদনের বক্তব্য প্রায় এক। মূল আবেদনের ভিত্তিতে করা মামলাটি এখনও চলছে। নির্বাচনের পরে নিয়মিত বেঞ্চে বর্তমান মামলাটির শুনানি হবে বলে জানিয়েছে অবকাশকালীন বেঞ্চ। আপাতত আদালতের এই নির্দেশের ফলে, ভোটের মধ্যে কোন বুথে কত ভোট পড়ল, তা জানতে পারবেন না সাধারণ জনগণ।
প্রত্যেকটি বুথে ভোটগ্রহণের পর ‘ফর্ম ১৭সি’ নামে একটি ফর্মে ভোটদান সংক্রান্ত সকল তথ্য নথিবদ্ধ করেন সংশ্লিষ্ট বুথের প্রিসাইডিং অফিসার। বুথে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের দিয়ে সেই ফর্মে স্বাক্ষরও করিয়ে নিতে হয়। ভোটগ্রহণ শেষের পরই এই ফর্মের প্রথম অংশ স্ক্যান করে কমিশনকে নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল এডিআর। ১৭ মে, নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাবের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনবিধিতে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, ভারতবর্ষের এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে বলে জানায় কমিশন। সেই সঙ্গে, তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, নির্বাচনী নথি প্রকাশ করা হলে, সাধারণ মানুষ তাতে ওলটপালট করে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনেক দেরি করে ভোটদানের তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, ভোটগ্রহণের দিন প্রকাশিত আনুমানিক হিসেব এবং পরে প্রকাশিত তথ্যের বিস্তর ফারাক নিয়েও প্রশ্নও তুলেছেন বিরোধীরা।
Leave a Reply