নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সেমিফাইনাল খেলা হল না গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। অজিদের বাড়া ভাতে ছাই ফেলল ব্রিটিশবাহিনী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার উপর নির্ভর করছিল অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড মাঠে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ছিল ৭, ইংল্যান্ডের ৫। শ্রীলঙ্কা জিতলে ইংল্যান্ডকে ৫ পয়েন্টেই শেষ করতে হত ইংল্যান্ডকে। তবে, তা হল না। রানরেটের নিরিখে এগিয়ে থাকার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে পিছনে ফেলে সেমির সিঁড়ি ধরে উতরে গেল ইংল্যান্ড।
শনিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরুটা ভালো হলেও বড় রানে পৌঁছতে ব্যর্থ শনাকার দল। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম অঘটন ঘটান ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস। প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান কুশল মেন্ডিসকে (১৪ বলে ১৮)। এরপর দলকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যান পাথুম নিসাঙ্কা এবং ধনঞ্জয় ডিসিলভা। নবম ওভারে ধনঞ্জয়কে (৯) তুলে নেন ধূর্ত সাম কারেন। এরপর চরিত আসালঙ্কাকে (৮) ফেরান সবার প্রিয় বেন স্টোকস। ২২ বলে ২২ রান করে মার্ক উডের বলে আউট হন ভানুকা রাজাপক্ষে। দাঁত কামড়ে টিকে ছিলেন পাথুম নিশঙ্কা। করেন ৪৫ বলে ৬৭ রান। এরপর আদিল রশিদের কব্জির ঘূর্ণিতে পাথুম নিসাঙ্কার উইকেট পড়তেই ধস নামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং ইনিংসে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
জয়ের জন্য ১৪২ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না ইংল্যান্ডের কাছে। ওপেনিং জুটি দায়িত্ব সহকারে করে ফেলে ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত স্থাপন। জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হালেস করেন ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। ২৩ বলে ২৮ রান করে ওয়ানিন্দু হাসাঙ্গার বলে আউট হন বাটলার। এরপর হালেসকেও ফেরান হাসারাঙ্গা (৩০ বলে ৪৭)। হ্যারি ব্রুক (৪) ও লিয়াম লিভিংস্টন (৪), মইন আলী (১) দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। চাপ আরও বাড়িয়ে আউট হন সাম কারেন (৬)। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেন সেই বহু যুদ্ধের অপাজেয় যোদ্ধা বেন স্টোকস (৩৬ বলে অপরাজিত ৪৪)। ২ বল বাকি থাকতেই ১৪৪/৬ রান তুলে ম্যাচ পকেটে ঢোকায় ইংল্যান্ড।
Leave a Reply