ইউ এন লাইভ নিউজ: ভারত একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক,ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ দেশ। এই দেশে সর্বধর্ম সমন্বয় লোকজন বসবাস করে। কিন্তু এখনও ভারতবর্ষের কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে ভারতীয়দের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাদের ভারতের ৫টি পর্যটন কেন্দ্র এড়িয়ে চলা প্রয়োজন কারণ সেখানে অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রবেশ করলেও বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে, এমনকি জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে। এখন জেনে নেওয়া যাক সেই ৫টি জায়গা সম্পর্কে:-
প্রথম স্থানে আছে, উনো-ইন হোটেল,যা বেঙ্গালুরুতে অবিস্থিত। বেঙ্গালুরুতে এই হোটেলটি ২০১২ সালে জাজেলদের রীতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। কোন একটি কারণে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ ওঠে এই হোটেলের বিরুদ্ধে, এরপর হোটেলটি ২০১৪ সাল থেকে ভারতীয়দের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাসোল গ্রাম। হিমাচল প্রদেশের এই গ্রামটিতে সম্পূর্ণভাবে ভারতীয়দের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে গত ২০১৫ সাল থেকে। এখানে ইসরাইলী নারীরা আর্মি ট্রেনিং নেওয়ার পর কয়েকটি দিন ছুটি কাটাতে ও ভ্রমণ করতে এই গ্রামে আসেন। কয়েকজন ভারতীয় তাদেরকে উত্যক্ত করায়, এই গ্রামে ভারতীয়দের আসা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদি একান্তই প্রবেশ করতে হয় তবে প্রমাণ স্বরূপ নথিপত্র জমা রেখে ঢুকতে হবে গ্রামে।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে, ফরেইনার্স অনলি, গোয়ার এক বিশেষ সমুদ্র সৈকতে কতগুলি রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে এবং সুন্দর সৈকত বানানো হয়েছে। তবে সেখানে বিদেশীরা খোলামেলাভাবে মেলামেশা করেন বলে ভারতীয়দের প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই সমুদ্র সৈকতে।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে পুদুচেরির ফরেইনার্স ওনলি বিচ। গোয়ার মতোই পুদুচেরিতে কয়েকটি বিশেষ সমুদ্র সৈকত এবং রেস্তোরাঁ বানানো হয়েছে যেখানে কেবল বিদেশিদের জন্যই সংরক্ষিত। সারাবছর বিদেশীরা এই সমস্ত সমুদ্র সৈকতে এসে ভিড় করে এবং তারা খোলামেলা ভাবে মেলামেশা করে বলে ভারতীয়দের এই স্থানে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে, চেন্নাইয়ের হাইল্যান্ডস লজ। চেন্নাইয়ে একটি লজ রয়েছে যেখানে কেবল বিদেশিদের প্রবেশের সুযোগ রয়েছে অর্থাৎ যাদের কাছে বিদেশি পাসপোর্ট রয়েছে তারাই কেবল এই লজে থাকতে পারবেন। ‘ডেকান হেরাল্ড’-এর একটি গল্প অনুসারে এই লজে ‘নো ইন্ডিয়ান’ নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
Leave a Reply