ইউ এন লাইভ নিউজ: ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা এবং উন্মাদনা। কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ২০১২ সাল থেকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বন্ধ রয়েছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আপাতত কেবল এশিয়া কাপ বা বিশ্বকাপের মতো বহুদলীয় প্রতিযোগিতাগুলিতেই মুখোমুখি হয় দুটি দল।
তাদের ধুন্ধুমার লড়াই কেবল উপমহাদেশ নয় বরং উপভোগ করে গোটা ক্রিকেটবিশ্বই। গত বছর এশিয়া কাপ ও ওডিআই বিশ্বকাপ একসাথে থাকায় তিনবার ভারত-পাক দ্বৈরথ দেখার সুযোগ হয়েছিল দর্শকদের। এশিয়া কাপের একটি ম্যাচ ভেস্তে গিয়েছিলো বৃষ্টিতে। বাকি দুটিতে একতরফাভাবে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত। এবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইতে এক নতুন অধ্যায় যোগ করতে চলেছে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ।
জুন মাসের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে চলেছে টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। ভারত ও পাকিস্তান এই দুই হেভিওয়েট একসাথেই রয়েছে গ্রুপ ‘এ’-তে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বেই সম্মুখসমরে নামতে চলেছেন রোহিত-বাবর। ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে শেষ যখন দেখা হয়েছিল দুই দলের তখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেটগ্রাউন্ডের গ্যালারিতে পা ফেলার পর্যন্ত জায়গা ছিল না। এবার আমেরিকাতেও ভারত-পাক লড়াই ঘিরে চড়তে শুরু করেছে উন্মাদনার পারদ। ইতিমধ্যেই চলছে টিকিটের জন্য হাহাকার। আকাশছোঁয়া দাম দিয়েও এই ম্যাচ চাক্ষুষ করতে মরিয়া ক্রিকেট-ভক্তরা। খেলার বাকি এক মাসেরও কম সময়। এর মধ্যেই মাঠ নিয়ে বড় ঘোষণা আইসিসির।
ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেট-দ্বৈরথ আয়োজিত হতে চলেছে নিউ ইয়র্কের উপকন্ঠে নাসাও কাউন্টিতে গড়ে ওঠা নতুন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এখানে টি-২০ বিশ্বকাপের মোট ৮টি ম্যাচ আয়োজিত হতে চলেছে। এর মধ্যে ভারত খেলবে ৩টি ম্যাচ। পাকিস্তান ছাড়াও এই মাঠেই ৫ জুন আয়ারল্যান্ড এবং ১২ জুন আয়োজক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে চলেছে ‘মেন ইন ব্লু।’ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ৩৪,০০০টি আসনবিশিষ্ট এই নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে। পপুলাস নামে একটি সংস্থাকে নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছিল। ভারতের ১ লক্ষ ৩২ হাজার আসনবিশিষ্ট নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামও নির্মাণ করেছিল এই সংস্থা।
গত বুধবার বিশ্বে দ্রুত তম মানুষ এবং টি-২০ বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসেডর উসেইন বোল্টের হাত দিয়ে উদ্বোধন হল এই নতুন স্টেডিয়ামের। এই নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছে নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। তাঁদের পক্ষ থেকে হেড অফ ইভেন্টস ক্রিস টেটলি বলেন, “যখনই কোনো নতুন স্টেডিয়াম তৈরি হয়, তখনই প্রশ্ন ওঠে তার মাপ নিয়ে। নাসাও কাউন্টির এই মাঠ মোটেই ছোট নয়। মাঠের কেন্দ্র থেকে পূর্ব-পশ্চিমে এর দৈর্ঘ্য ৭৫ গজ এবং উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য ৬৭ গজ। এটা ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের মাপের কাছাকাছি। এই মাঠের নিকাশী ব্যবস্থাও হবে বিশ্বমানের।” ওয়াংখেড়েতেই আজ থেকে ১৩ বছর আগে ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এবার মার্কিন মুলুকের এই ওয়াংখেড়েতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের কি ফলাফল হয় এখন অপেক্ষা তারই।
Leave a Reply