East Bengal

East Bengal: বাড়তি সতর্ক কুয়াদ্রাত, ঘরের মাঠে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল

ইউ এন লাইভ নিউজ: পুরনো হারের স্মৃতি অতীত, নতুন লক্ষ্য নিয়ে এএফসির ম্যাচ খেলতে নামলেও, অলটিন অসির এর বিরুদ্ধে যেন বাড়তি সতর্ক কুয়াদ্রাত। বুধবার ঘরের মাঠে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। প্রায় দশ বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোনও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। ২০১৪-১৫ সালে শেষবার এএফসি কাপে খেলেছিল তারা। গত ১০ বছরে পারফরম্যান্সের গ্রাফটা শুধুই নীচের দিকে নেমেছে ইস্টবেঙ্গলের। গত মরশুম থেকে কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাত ধরে ধীরে ধীরে ভোল বদলাতে শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। যার নিটফল, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনও ম্যাচে অংশ নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। ১৪ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব অলটিন অসিরের মুখোমুখি হবে কার্লেস কুয়াদ্রাতের টিম।

গত মরশুমে সুপার কাপ জেতার জন্যই ইস্টবেঙ্গল আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছে। এমন কী পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগও রয়েছে। একেই ঘরের মাঠে ম্যাচ। তার উপর আবার প্রতিপক্ষে কোনও বিদেশি নেই। এরকম সুযোগ খুব কমই আসে। কিন্তু নিজেদের ফেভারিট মানছেন না কুয়াদ্রাত। পাঁচ বছর আগে বেঙ্গালুরু এফসির কোচ থাকাকালীন এএফসি কাপে ইয়াজগুলি হোজাগেলডিয়েভের দলের কাছে ০-৩ হেরেছিলেন। সেই স্মৃতি এখনও ভুলতে পারেননি। সে কারণেই সম্ভবত পরিস্থিতি তাঁদের পক্ষে থাকলেও, নিজেদের এগিয়ে রাখতে চান না। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিকদের কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘কঠিন প্রতিপক্ষ। পাঁচ বছর আগে বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীন আমরা ০-৩ গোলে হেরেছিলাম।‌ তাই আমাদের বাস্তবের মাটিতে পা রাখতে হবে। ওদের অনেক প্লেয়ারের এএফসিতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেখানে আমাদের দলে অনেক নতুন প্লেয়ার আছে। আমরা কোনও ভাবেই ফেভারিট নই। ন’বছর পরে এএফসিতে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। আমরা পরিস্থিতির সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করব। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলা অবশ্যই কিছুটা অ্যাডভান্টেজ। প্লেয়াররা তৈরি। এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’

পাঁচ বছর আগের বেঙ্গালুরু দলটির চেয়ে কি বর্তমান ইস্টবেঙ্গল দল ভালো? স্প্যানিশ কোচের দাবি, ‘বেঙ্গালুরুর দলটিও শক্তিশালী ছিল। দু’টো দলের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন। তবে আমাদের দলটা ভালো। জুনিয়র দলের থেকেও প্লেয়ার উঠে আসছে। এমন কয়েক জন ফুটবলার রয়েছে, যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’ নিশু কুমার ছাড়া সবাইকেই পাওয়া যাবে। খেলবেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস, ক্লেটন‌ সিলভাও। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ জানিয়ে দিলেন, দলের অনেকেই এখনও ৯০ মিনিট খেলার মতো জায়গায় নেই। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, হয়তো পরে পরিবর্ত হিসেবে দেখা যেতে পারে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারকে। তবে যাই প্রতিকূলতা থাকুক না কেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করতে তৈরি লাল হলুদ বাহিনী। কুয়াদ্রাত বলেন, ‘আমরা মাত্র ১৫ দিন হল প্র্যাকটিস করছি। সম্পূর্ণ একটা প্রাক মরশুম প্রস্তুতিও বলা যাবে না। পুরো ফিট দল পেতে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হয়ে যাবে। তবে এই ম্যাচটা ক্লাবের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। দীর্ঘ দিন পর আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি। তাই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।’