ইউ এন লাইভ নিউজ: পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে ১৭ বছরের সোনালী সময় কাটিয়েছেন বার্সেলোনায়। এরপর লিওনেল মেসি দুই মৌসুম ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে খেলেছেন। বর্তমানে ইউরোপের ছায়া মাড়িয়ে অনেক দূরে এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তবে ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপ আবারও প্রতিপক্ষ হিসেবে ইউরোপ সেরা ক্লাবের বিপক্ষে নামার সুযোগ করে দিচ্ছে মেসিদের। তার সঙ্গে লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসরাও খেলবেন ইন্টার মায়ামির জার্সিতে।
তবে ক্লাব বিশ্বকাপে প্রতিযোগী দলগুলোর তালিকায় মায়ামির নাম অন্তর্ভূক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। এক সংবাদমাধ্যম খবর, দক্ষিণ ফ্লোরিডার ক্লাবটি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) থেকে বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের খেলা নিশ্চিত করেছে। যা ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে শুরু হবে।
মায়ামির ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়ার নেপথ্য যুক্তিও দিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। সেটি হচ্ছে ফিফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কনকাকাফ (আমেরিকান প্রতিযোগিতা) থেকে একটি স্লট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী দলের জন্য রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন টুর্নামেন্টটির আয়োজক হিসেবেই সেই অতিরিক্ত স্লটটি বরাদ্দ পেয়েছে। যদিও এমএলএস কর্তৃপক্ষ ক্লাব বিশ্বকাপে তাদের কোন দলটি অংশ নেবে, সেটি এখনও জানায়নি। তবে সম্ভাব্য দলের নাম ইতোমধ্যে ফিফার গভর্নিং বডিকে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এমএলএসের দুটি মূল ট্রফির একটি ‘সাপোর্টার্স শিল্ড’ জেতায় মায়ামিকেই টুর্নামেন্টটিতে দেখছে ইএসপিএন।
এমএলএসের সাপোর্টাস শিল্ড শিরোপা হাতে মেসি-সুয়ারেজ-আলবা ও বুসকেটস ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ৩২টি দল অংশ নেবে আসন্ন আসরে। সাতটি দল থেকে এবার অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তে সেটি বেশ বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপের সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে ১৩ জুলাই। ইতিমধ্যে বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি ভেন্যুর নামও ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ইউরোপ (উয়েফা) থেকে ১২, লাতিন আমেরিকার (কনমেবল) ৬, উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবীয় দ্বীপের কনকাকাফ মিলিয়ে ৪, এশিয়ার (এএফসি) ৪, আফ্রিকা মহাদেশ (সিএএফ) থেকে ৪ এবং বাকি ২টি স্পট ওশেনিয়া মহাদেশের (ওএফসি) জন্য রাখা হয়েছে।
৪৭তম ট্রফি জিততে রেকর্ড বিসর্জন দিতেও রাজি মেসি। মেসি-সুয়ারেজদের সামনে আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি ইউরোপ থেকে ম্যানচেস্টার সিটি (২০২২-২৩ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়) ও রিয়াল মাদ্রিদের (২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়) মতো ক্লাবগুলোর এই বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নিশ্চিত। তাদের সঙ্গে ইউরোপ থেকে সুযোগ পাবে আরও ১০টি ক্লাব। অন্যদিকে মেসির মায়ামি জায়গা পাকাপাকি করতে পারলে নিজের সাবেক ক্লাবসহ (বার্সেলোনা, পিএসজি) প্রতিপক্ষ অন্য দলগুলোর সঙ্গেও ফের তার রোমাঞ্চকর ম্যাচের সুযোগ মিলবে। কেবল তাই নয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর আল-নাসরের সঙ্গেও দেখা হয়ে যেতে পারে মেসিদের। ক্লাব বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে ইন্টার মিয়ামি টীম মেসি।
Leave a Reply