স্পোর্টস ডেস্ক-প্রযুক্তিই ভরসা।ফুটবল সেই প্রযুক্তকে আরও বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করছে। আইসিসি যেমন নানান প্রযুক্তি দিয়ে ক্রিকেটে এলবিডব্লু আউটের সিদ্ধান্তকে নিখুঁত করার চেষ্টা করেছে, এবার সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ফিফা।
বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল,আরও নিখুঁতভাবে অফসাইড বিচার করা দরকার। সেটি করতে এবারের কাতার বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হবে ‘সেমি অটোমেটেড’ প্রযুক্তি। তবে বিশ্বকাপের আগেই এই প্রযুক্তির ‘ট্রায়াল’ দেখতে পাওয়া যাবে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও তার আগে সামনের সপ্তাহে উয়েফা সুপার কাপেও ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির ব্যবহারের কথা নিশ্চিত করেছে উয়েফা।
কিভাবে ব্যবহার করা হবে এই প্রযুক্তি? কাতার বিশ্বকাপে অফিশিয়াল বল ‘রিহলা’য় লাগানো থাকবে একটি সেন্সর। এই চিপটি তথ্য পাঠাবে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার। স্টেডিয়ামের ছাদে থাকবে ১২টি সিনক্রোনাইজড মাল্টিট্র্যাকিং ক্যামেরা।
এটা বল আর খেলোয়াড়ের ২৯টি পয়েন্ট থেকে নজরদারি চালাবে। প্রতি সেকেন্ডে ক্যামেরা হয়ে সার্ভারে যে তথ্যগুলো ঢুকতে থাকবে তাতে নাকি নিখুঁতভাবে ধরতে পারবে খেলোয়াড়দের পজিশন। অফসাইড নিয়ে নানান জটিলতা কাটাতে ‘সেমি অটোমেটেড অফসাইড টেকনোলজি’ নামের এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হতে যাচ্ছে।
ফুটবল ম্যাচে অফসাইড নিয়ে বিতর্ক আজ নতুন কিছু নয়। তা হয়ে আসছে সেই শুরুর দিক থেকে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই অফসাইডের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ সামনে আসে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ‘ভিএআর’ আসার পরেও এই বিতর্ক মেটেনি।
সেই কারণে নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে আসছে ফিফা। আগামী বুধবার উয়েফা সুপার কাপে রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। এইসব ম্যাচে দেখা যাবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার।
Leave a Reply