ইউ এন লাইভ নিউজ: সোমবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। সোমবার সকাল পৌনে ৯ টা নাগাদ উত্তরবঙ্গ থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ফাঁসিদেওয়া স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার সম্মুখিন হয়। সেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটি সকাল ৩টে ১৬ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতভরই স্টেশনে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হেকিম ও রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম সহ রেলের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ট্রেনের যাত্রীদের জন্য খাবার,জল সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাপনা করা হয় রেলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে, যাত্রীরা শিয়ালদাহ স্টেশনে পৌঁছানোর পরে নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে যাতে বাড়ি যেতে পারেন তার জন্যও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ টি ছোট গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়।
শিয়ালদাহ স্টেশনে নামার পরেও অনেকের মুখে দেখতে পাওয়া যায় আতঙ্কের ছাপ। যাত্রীরা শিয়ালদাহ স্টেশনে পোঁছানোর পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ও পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক মহিলা যাত্রী জানান, তাঁর মেয়ে টেবিল টেনিস খেলে। তাকে নিয়েই শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথেই এই বিপত্তি। তবে দুর্ঘটনার পরে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন। খাওয়াদাওয়া থেকে জল, কোনও কিছুরই সমস্যা হয়নি বলেই জানান ওই মহিলা।
অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। যাঁরা গুরুতর আহত, রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের জন্য এখানে হেল্প ডেস্ক করা হয়েছে। গোটা পরিবহণ দফতর এখানে রয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী রয়েছেন। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের সুষ্ঠুভাবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেলের অপদার্থতাতেই এতট ভুগেছেন যাত্রীরা। তাই তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে।’
পরে মেয়র আরও বলেন, ‘মানুষের অভিজ্ঞতা খুবই মর্মান্তিক। কেউ ৩ দিন ধরে, কেউ ২ দিন ধরে ট্রেনে আসছেন। তার মধ্যেই মৃত্যু ফাঁদ। কারও কারও ঝাঁকুনির কারণে চোট লেগেছে, তাঁদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হল। আমাদের যেটুকু করার করছি। কিন্তু ভারতীয় রেলের কী হবে সেটা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে রয়েছে।’ এদিন মেয়র জানান, ট্রেনকে তিনি নিজেও নিরাপদ মনে করছেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বন্দে ভারতে মালদা, বোলপুর যাই। এখন মনে হচ্ছে আরও একটু বীমা বাড়িয়ে যেতে হবে, কারণ ফিরব কি না কোনও ঠিক নেই।’