ইউ এন লাইভ নিউজ: প্রায় প্রতিদিনই আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে শহরের কোথাও না কোথাও ধর্না চলছে। শুক্রবার রাতে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সেসময় ব্যারিকেডে আচমকা এসে ধাক্কা দেন এক পুলিশকর্মী। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে বিটি রোড অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সিঁথি থানায় এই নিয়ে অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ পডুয়াদের। উল্টে সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা তাঁকে পালাতে সাহায্য করে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ কর্মসূচি চালাচ্ছিলেন সিঁথির মোড় এলাকায়। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত। রাতে সিঁথির মোড়ে স্লোগান এবং ছবি এঁকে চলছিল প্রতিবাদ। সেখানে উপস্থিত ছিল পুলিশই। কিন্তু হঠাৎই একটি বাইক এসে ধাক্কা মারে প্রতিবাদীদের ব্যারিকেডের মধ্যে। বাইকে এক মদ্যপ পুলিশকর্মী ছিলেন বলে অভিযোগ। সেখানে কর্তব্যরত অন্য পুলিশকর্মীরা তাঁকে না ধরে পালানোর সুযোগ করে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। তারই প্রতিবাদে সকাল থেকে বিটিরোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা অভিযুক্ত মদ্যপ পুলিশকর্মীকে পালাতে সাহায্য করেছে । চার ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ জানানোর পর অবশেষে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় সিঁথি থানার পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী বা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। তারপরে অবরোধ তোলেন রবীন্দ্রভারতীর পড়ুয়ারা। সকাল থেকে অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনা আবারও পুলিশকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল। আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছিল বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ইতিমধ্যে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।