ইউ এন লাইভ নিউজ: বেগর খাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘কিছু জায়গায় খালগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। খাল হচ্ছে কলকাতার জল বার করার জন্য। কেউ গ্যারেজ করে নিচ্ছে। এটা নিয়ে আমি পুলিশ প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। আমি আবার পুলিশ কমিশনারকে বলব। যখন হচ্ছে তখন যদি আমরা আটকাই তাহলে কাজ হবে। এটা নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করব। দলীয় কার্যালয় নয়, এখন গ্যারেজ রয়েছে। সেটা দখল করা হয়েছে।’ শহরে বেআইনি বাড়ি প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘এখন কোনও বেআইনি বাড়ি হচ্ছে না। আমাদের লক বুক সিস্টেম চলেছে। এখনে কোথাও বেআইনি বাড়ি হচ্ছে না। একটা দুটো জায়গায় হচ্ছে। সেটা অভিযোগ আসছে। যারা অভিযোগ করছে তাদের কাছে যাওয়া হচ্ছে। কোনো ঘুর পথে অনুমোদন পাচ্ছে না কেউ। কারোর সম্বন্ধে বললে হয় না। ওয়েবসাইট তালিকা থাকে, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আবার ব্ল্যাক মেলিংও করছে অনেকে।’
বৃষ্টিপাতের দুর্যোগের জন্য একাধিক পুরানো বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। ভেঙে যাওয়া বাড়ি নিয়ে এবং জল জমা নিয়ে মেয়র জানান, ‘জল জমা থেকে বিপজ্জনক পুরোনো বাড়ি, আমরা সব জায়গায় নোটিশ দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু মানুষ ভয়ে সরাচ্ছেন না। আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি যে তারা তাদের জায়গা ফিরে পাবেন। তার পরেও তারা সরছেন না। অনেক জায়গায় মালিককে পাওয়া যাচ্ছে, আবার কোথাও মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে এখানে সংবিধানের শপথ নিয়ে বসতে হয়েছে। আমি সংবিধানের বাইরে যেতে পারি না।’ আখিল গিরি নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি ফিরহাদ হাকিম। মেয়রের দাবি “এখন ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া এত টা হবে না। যখন বৃষ্টি থেমে যাবে তখনই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তখনই আমাদের কাজ করতে হবে। হাওড়ার বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখের। মেয়র বলেন,এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি হাওড়া মিউনিসিপালকে বলেছি সতর্ক থাকতে। আমরা বলেছি একটু খেয়াল রাখতে। কলকাতার রিপোর্ট আমাকে দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় কোথাও লিকেজ নেই। হাওড়ায়ও আগের তুলনায় অনেকটা কম হয়েছে। আন প্ল্যান সিটি। আমরা একটা মাস্টার প্ল্যান করতে দিয়েছি।’ আর জি কর ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু জানিনা বলে জানান মেয়র। ১২৭ অক্সি টাউনের সামনে, বেহালা কিছু অঞ্চলে জল জমা ছিল। কিন্তু লক গেট খুলে দেওয়ার পর জল বেরিয়ে গেছে বলেও দাবি কলকাতা পৌর সংস্থার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।