নিউজ ডেস্ক : ছুটন্ত ট্রেন, হু হু করে পিছনে ছুটছে সময়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আরামে বসে হাতে গরম লোভনীয় ফিশ ফ্রাইয়ে কামড়। ভাবতেই ভাল লাগে, তাই না?
যাঁদের কাজে-কম্মে প্রায়শই দৌড়তে হয় রাজধানী দিল্লিতে, আজ থেকে বছর চারেক আগে তাঁদের ভাগ্যে জুটত জিভে জল আনা ফিশ ফ্রাই। এখন সে রামও নেই সে অযোধ্যাও নেই।
সময় যত এগিয়েছে, রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে হারিয়েছে ফিশ ফ্রাই, পুডিং আর আইসক্রিম। রাজধানী এক্সপ্রেসের খাবারের মান নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। এমনকি বন্ধ হয়েছে ট্রেনের রান্নাও।
বর্তমানে প্যাকেটজাত খাবার পরিবেশন করা হয় ট্রেনে। কিন্তু যাত্রীদের মন পড়ে আছে সেই ফিশ ফ্রাইয়েই। তা জানতে পেরেই, ফিশ ফ্রাইকে ফেরানোর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে আইআরসিটিসি।
শেষবার ফিশ ফ্রাই পরিবেশন করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩ রা মার্চ। এরপর থেকেই বহুবার রাজধানী এক্সপ্রেসের হাল ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
সম্প্রতি আইআরসিটির পূর্বাঞ্চলীয় শাখার গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জাফর আজম। যাত্রীদের খুশি করতে, তাঁর উদ্যোগেই এবার রাজধানী এক্সপ্রেসে বড়সড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানীর বিখ্যাত সব খাবার নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভারতীয় রেলের তরফে খবরের সত্যতা পুরোপুরি স্বীকার করা হয়নি।
আইআরসিটিসির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘রাজধানীর ফিশ ফ্রাই যাত্রীদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। ট্রেন যাত্রার সময় তা ফের পেতে চাইছেন যাত্রীরা। তা জানার পর থেকেই রাজধানীতে নতুন করে ফিশফ্রাই চালু করার বিষয়ে আগ্রহী রেল। তার জন্য কী করতে হবে, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বোর্ড কর্তারা’।
ফিশ ফ্রাই ফেরার আশার মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে, আগের মতো সুস্বাদু হবে কি এই ফিশ ফ্রাই? পারবে কি যাত্রীদের রসনা তৃপ্তি করতে? নাকি ফের এই খাবারের বিরুদ্ধেও উঠবে গুনগতমান সংক্রান্ত অভিযোগ? দোলাচলে যাত্রীরা।