নিউ সেক্রেটারিয়ট বিল্ডিংয়ের ওপর সাদা ফুটবলের মতো গোলাকার জিনিসটা কী? জলের ট্যাঙ্ক নাকি অন্য কিছু? জেনে নিন?

নিউজ ডেস্কঃ এক বৃষ্টি মুখর দিনে বিদ্যুত ধরতে চেয়েছিলেন বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন। তাঁরই পথ ধরে মানুষ আজ বাজ ধরতে চাইছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি।এমন নয় যে এ কাজ আগে কোথাও হয়নি। তবে এবার কলকাতায় বসেই সেই বাজ ধরার কাজ করবেন হাওয়া অফিসের আবহবিদরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আবহবিদরা খুব নির্ভুল ভাবে প্রকৃতির মতিগতি পরিবর্তনের আগাম খবর দিচ্ছেন।তাঁদের সেই পূর্বাভাসে বেঁচে যায় মানুষের প্রাণ, জমির ফসল, গবাদি পশু। তাহলে বাজ ধরার চেষ্টা কেন?

আবহবিদরা দেখেছেন বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাজ পড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সমস্যায় পড়ছেন সেই সব পরিবার গুলো। এই সমস্যা কীভাবে মেটান যায় তা নিয়েই চিন্তা ভাবনা চলছিল আবহবিদদের মধ্যে।সেই আলোচনা আরও গতি পেয়েছে।

সম্প্রতি আই এম ডির( আবহাওয়া দফতর) প্রধান, মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র কলকাতায় এসেছিলেন।  সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। সেই কথোপকথনেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে কলকাতার নিউ সেক্রেটেরিয়ট বিল্ডিং এর ওপর  ফুটবলের মতো দেখতে সেই বস্তুর আসল পরিচয় নিয়ে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে আসলে ওটি একটি ডপলার রেডার । যা দিয়ে প্রাকৃতিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আগাম তথ্য পাওয়া যায়। আমফান বা যশের মত ঝড়ের পূর্বাভাসের খবর দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ডপলার রেডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। তবে আজ সে বয়সের ভারে ধুঁকছে। তাই আরও আধুনিক রেডার বসানো হবে।

আবহাওয়া অফিস চাইছে এবার থেকে শহর কেন্দ্রিক পূর্বাভাস দেওয়ার পদ্ধতি গড়ে তুলতে। এই ব্যবস্থায় কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকার আবহাওয়া সংক্রান্ত আরও বিশদ খবর পাওয়া যাবে। কবে , কোথায়, কতটা বৃষ্টি হবে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কত তাও বিশদে শহরবাসীকে জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে হাওয়া অফিস।শুধু তাই নয় , কোথায় জমা জলে মশার জন্ম হতে পারে তাও জানিয়ে দেবে হাওয়া অফিস। এই কাজ তারা কলকাতা পুরসভার সঙ্গে করবে। আগামী বছর বর্ষা আসার আগেই এই কাজ শেষ করতে চাইছে আবহাওয়া দফতর।

সূত্রের খবর, রোদ, বৃষ্টির সঙ্গেই এই রেডারকে কাজে লাগিয়ে এবার বাজ পড়ার আগাম খবর সংগ্রহের চেষ্টা চালাবে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের আশা এই কাজে তাঁরা যতটা সাফল্য পাবেন ততই রক্ষা পাবে অসংখ্য মানুষের জীবন। কোথায় কখন বাজ পড়বে তা যদি আগাম জানিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে মানুষও সতর্ক থাকতে পারবেন। বেঘোরে আর কারুর প্রাণ যাবে না ।