নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যে যে সৌজন্যের রাজনীতির চর্চা চলছে তার রেশ এবার জাতীয় স্তরেও দেখা যেতে পারে। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রে পাওয়া খবরে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আগামি বছরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোয়াপাধ্যায়ের জার্মানিতে যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যের এক প্রকল্পের সাফল্যের কারণে আন্তর্জাতিক পুরস্কার নেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মনে করা হচ্ছে এবার হয়ত তাঁর বিদেশ যাত্রায় আর বাধ সাধবে না মোদি সরকার।শেষ পর্যন্ত তা হলে, বলা যেতেই পারে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার পরস্পরের কাছাকাছি আসছে।
এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোয়াপাধ্যায়ের বিদেশ যাত্রায় ছাড়পত্র দেয়নি বিদেশ মন্ত্রক। সাউথ ব্লক সূত্রে পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, সে পরিস্থিত বদলাতে চলেছে। শুধু জার্মানি নয়, আগামি বছর প্রধানমন্ত্রীর এক বিদেশ সফরে তাঁর সঙ্গী হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।আগামি বছরের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউরোপ সফরে যাবেন। সেখানে তিনি বিদেশি শিল্পপতিদের ভারতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাবেন। সেই সফরেই তাঁর সঙ্গী হতে পারেন মমতা।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, আসলে এই ঘটনা বাস্তবায়ীত হলে তাকে মোদির কূটনৈতিক চাল হিসেবেই দেখতে হবে। বিদেশে হামেশাই বিজেপি সরকারকে দেশে বিরোধী কন্ঠ রোধকরার অভিযোগের মুখে পড়তে হয়। বিরোধী স্বরের পাশাপাশি , সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদি যদি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের সফর সঙ্গী হিসেবে একজন বিরোধী নেত্রীকে বেছে নেন তাহলে বিশ্বের দরবারে তাঁর ভাবমূর্তিই উজ্জ্বল হবে।
এর পাশাপাশি মমতা বিরোধীরা বলছেন, আসলে বিজেপি-তৃণমূল, তলতলে আঁতাত করে চলে। এই ঘটনা সেই অভিযোগকেই স্পষ্ট করে দিচ্ছে। গত কয়েকদিনে রাজ্য রাজনীতিতেও বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সৌজন্যের ছবি দেখা গিয়েছিল। যদিও তার রেশ বেশিদিন স্থায়ী হয় নি। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের সঙ্গে এ রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্ব অলআউট বিরোধিতায় গেলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তার রাশ টেনে ধরবে নাতো।
Leave a Reply