String Operation

Loksabha Election 2024: গঙ্গাধর কয়ালকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে, দাবি বিজেপি নেতৃত্বের

ইউ এন লাইভ নিউজ: আবারও চর্চায় সন্দেশখালি। সম্প্রতি সন্দেশখালিতে মহিলা নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওকে নিয়ে তুমুল জলঘোলা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেই ভিডিও সামনে আসার পর তৃণমূল দাবি করেছে যে ‘সন্দেশখালি বিজেপির পরিকল্পিত চক্রান্ত।’ এবার তৃণমূলের সেই দাবির প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের দাবি, ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে সিবিআই তদন্ত চাই।

সন্দেশখালি ‘স্ট্রিং অপারেশন’-র ভিডিও প্রসঙ্গে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘’এটা তৃণমূল কংগ্রেসের একটা চাল। হেরে যাওয়ার ভয়ে যেমন করে হোক বিজেপির ক্ষতি করতে চাইছে তৃণমূল। সেই জন্য আমি এটা নিয়ে কিছু বলতে চাইছি না। তবে এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ। হয়তো ওঁর বাড়ি গিয়ে বউ-বাচ্চার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ওঁকে দিয়ে মিথ্যে কথা বলিয়ে এই ভিডিও বানানো হয়েছে।” এই ভিডিও যাঁর কথা নিয়ে শোরগোল গঙ্গাধর কয়ালের দাবি, তিনি এরকম কিছুই বলেননি। তাঁর ছবি এবং কণ্ঠস্বর AI প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃত করা হয়েছে। তাঁকে ফাসানো হয়েছে। তাঁর দলকে বদনাম করা হচ্ছে, ভোটের আগে।

ইতিমধ্যেই তিনি সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আরও একবার সংবাদের শিরোনামে সন্দেশখালি। ‘স্টিং অপারেশন’-র ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দাবি করা হয়, সন্দেশখালির ২ ব্লকের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল নিজে স্বীকার করেছেন সন্দেশখালির বুকে নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলি সাজানো! বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনা মতোই মহিলাদের দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর এই অভিযোগ আনা হয়। যদিও ইউ এন লাইফ এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি করেন, “ভিডিওটি ডিপফেক।” তিনি ‘X’ হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, ‘আজকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI-র যুগে কী না হয়? রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের জন্য এটা করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এর জন্য তিনি ‘আইপ্যাক’-কে দায়ী করেছেন।

সোমবার নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন কৃষ্ণনগরের সভা থেকে ‘বাংলার দিদিকে’ একহাত নিলেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন,”যেসব নেতারা মহিলাদের ওপর নির্যাতন করছিল, তাঁদের গ্রেপ্তার করেননি কেন? আপনার দলের নেতারাই অত্যাচার করছিলেন। আপনি কি শাহজাহানকে নির্দোষ মনে করেন? হাইকোর্টকে কেন এ বিষয়ে নির্দেশ দিতে হল?” এর পরই তিনি প্রবল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় নিতেই হবে। এরপর তিনি জোর দিয়ে বলেন,”বাংলা থেকে বিজেপি তিরিশের বেশি আসন পাবে।” মহুয়ার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে শাহ মহুয়া মৈত্রকে নিশানা করে বলেন, ”মহুয়াদিদি তো নিজেই ফেঁসে আছেন। এখান থেকে রানিসাহেবাই এবার জিতবেন।”