ইউ এন লাইভ নিউজ: আজ ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে। ছয়টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৫৮ টি আসনে ভোট রয়েছে। বঙ্গের আট আসনে নির্বাচন চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হল ঘাটাল। এরই মধ্যে ঘাটাল লোকসভা আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়। আজ তিনি সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন , ‘সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি।কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু’জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে।’
এরপর হিরণের আরও সংযোজন, ”আজ সকাল থেকে বেশিরভাগ জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই।”
ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ, ”কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি গতরাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দলের তরফে পুরো পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা। তাঁরা চাঁদে আছে না, মঙ্গলে আছে, সেটা এখনও বুঝলাম না। কিউআরটি টিমের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। তাদের ফোন করলে একটাই কথা বলছে, আমরা দেখছি। বিজেপির ছেলেরা সারা রাত মার খাচ্ছে। ১৪৪ ধারার পরেও পিকনিক চলছে। এ ন্যাকা ন্যাকা কথা বলে এখানকার গণতন্ত্র বাঁচানো যাবে না।’’
Leave a Reply