নিউজ ডেস্ক: বছর শেষেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। আর সেই সম্ভাবনাকে সামনে রাখেই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছেন গুলাম নবি আজাদ। ইতিমধ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে ৫২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আজাদ হয়েছেন গুলাম। তারপরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। জম্মু-কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচনে তাহলে কি এবার গেরুয়ায় মিশে যাবেন গুলাম!
চলতি বছরের শেষেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে সেখানে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। সংখ্যালঘু প্রভাবিত জম্মু-কাশ্মীরে গেরুয়া শিবিরের ট্রামকার্ড হতে পারে আজাদই, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কারণ হিসেবে তাঁরা মনে করছেন, গুলাম নবি মুসলিম হলেও কাশ্মীর উপত্যকার নেতা নন। সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গেও কখনও তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। ফলে মেহবুবা মুফতিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে সমর্থন করে বিজেপি যে অস্বস্তিতে পড়ে ছিল এবার তার সম্ভাবনা নেই।
গুলামের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার সলতেটা আরও উস্কে দিয়েছে, সম্প্রতি কংগ্রেস ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হরিয়ানার নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই। তিনি বলেন, দল আমাকে বললে আমি ওনার সঙ্গে কথা বলে ওনাকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর চেষ্টা করতে পারি। এই বক্তব্য থেকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপির পক্ষ থেক দরজা খুলে রাখা বয়েছে গুলাম নবির জন্য।
অন্যদিকে আজাদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্কও খুব ভাল। রাজ্যসভায় গুলাম নবির বিদায় সংবর্ধনার দিন প্রধানমন্ত্রী চোখের জল ফেলে জানিয়েছিলেন, তিনি আজাদকে অবসর নিতে দেবেন না। সুযোগ পেলে তাঁকে সংসদে ফিরিয়ে আনবেন। এর পর পদ্মভূষণ সম্মান দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
প্রাথমিক ভাবে জল্পনা ছিল, আজাদকে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য করবে মোদি সরকার। এরপর তাঁর সরকার কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ‘পদ্ম’ সম্মানও দেয়। যে ভাষায় তিনি রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন, তাতে অনেকই মনে করছেন, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি।