ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিমে এখনও আটকে রয়েছেন প্রায় তিন হাজার পর্যটক। প্রয়োজনে তাঁদের উড়িয়ে আনার চিন্তাভাবনা চলছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভেসে যাওয়ায় এখনও সিকিমের সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কালিম্পং হয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করলেও লাগাতার বৃষ্টিতে সেই রাস্তাতেও মাঝেমধ্যে ধস নামছে। তাই চালু রাখা যাচ্ছে না ধারাবাহিক যোগাযোগ। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এখনও বৃষ্টি চলছে। কখনও বেশি, কখনও সামান্য কম। ফলে দুর্যোগের আশঙ্কা এখনও কমেনি। তবে তিস্তার জল সামান্য কমেছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে পৌঁছন। কালিঝোড়া-সহ একাধিক জায়গায় ঘুরে দেখছেন তিনি।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই এদিন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রংধামালি এলাকার ত্রাণশিবিরে যান রাজ্যপাল। সেখানকার শিবিরে থাকা মানুষরা তাঁর কাছে ত্রাণ ও ১০০ দিনের কাজ চালুর দাবি করেন। তাঁদের সামনে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে আলোচনা করারও আশ্বাস দিলেন রাজ্যপাল।
তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন গজলডোবায় বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বুধবার সিকিমে বিপর্যয়ের ফলে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তিস্তায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন সেচমন্ত্রী।
Leave a Reply