post vote violence

Loksabha Election 2024: ভোট শেষ হতেই মন্তেশ্বরে মিলল বিজেপি বুথ এজেন্টের ঝুলন্ত দেহ

ইউ এন লাইভ নিউজ: ভোট মিটতে না মিটতেই মন্তেশ্বর আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল। গত ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোট শেষ হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার অন্তর্গত এই এলাকায়। ভোট শেষ হতেই মন্তেশ্বরের জামনা অঞ্চলের ১৬৮ নং বুথের বিজেপি বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিয়ে এলকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত বুথ সভাপতির নাম অভিজিৎ রায়। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছেই উদ্ধার হয় বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ। তা নিয়ে এদিন সকাল থেকে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

মন্তেশ্বর থানার সামনে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই BJP-র বুথ সভাপতিকে প্রাণে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে গেরুয়া শিবিরের নেতা ও কর্মীরা। দলীয় কর্মীরা এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেও মৃত ব্যক্তির বাবা অরুন রায় পুলিশকে জানিয়েছেন ,’আত্মহত্যা করেছেন তাঁর ছেলে’।

উল্লেখ্য ,চতুর্থ দফার ভোটের দিন এই মন্তেশ্বরে ব্যাপক অশান্তির ঘটনা ঘটে। BJP-র এক বুথ এজেন্টকে বুথে বসাতে গিয়ে পুলিশের সামনেই শাসক দলের কর্মী ও সমর্থকদের চুড়ান্ত বিক্ষোভে নাস্তানাবুদ হতে হয় দিলীপ ঘোষকে। তাঁর রক্ষীদের গাড়ি-সহ সংবাদমাধ্যমের একাধিক গাড়িতেও বেপরোয়া ভাবে ভাঙচুর চালানো হয় । পরে কোনও ক্রমে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ওই এলাকা থেকে বেড়ি য়ে আসেন ।এই ঘটনার পর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। তার পর থেকে দু’দিন যেতে না যেতেই মন্তেশ্বরে বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর তৈরি হয়েছে। কমিশন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা জেলার আধিকারিকের কাছে থেকে এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পোদ্দার বলেন, ‘আমাদের দলের বুথ সভাপতি অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চক্রান্ত চলছে। এটা তাঁরা কোনওভাবেই মানবেন না। তাঁদের বুথ সভাপতিকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরাই দায়ী। ভোটের একদিন আগে শাসক দলের ওইসব নেতারা অভিজিৎকে হুমকিও দিয়েছিল। ভোটের দিন মন্তেশ্বরের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পেরেছে। হেরে যাবে বুঝেই শাসক দল সন্ত্রাস দেখতে শুরু করে দিয়েছে।’

যদিও তৃণমূল এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে মন্তব্য করেন , ”পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন! কিন্তু বিজেপি নেতারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমাদের দলের বদনাম করতে চাইছে। বিজেপি’ই পারে মৃত্যু নিয়ে এরকম রাজনীতি করতে। ”

অন্যদিকে, জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মন্তেশ্বরের মৃত ব্যক্তির দেহ উদ্ধার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।এবং মনে করা হচ্ছে তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে আসল ঘটনা’।