ইউ এন লাইভ নিউজ: ৫০ বছরের কম বয়সী যুবকরা জিমে ব্যায়াম করার পরেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দিন্দিন বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন জিমে ব্যায়াম করার আগে মেনে চলা উচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও হৃদরোগ সহ রোগীদের জিমে ব্যায়াম করার সময় সতর্ক হওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন ব্যায়াম করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়াম হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মাত্র ৩০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে নিতে হবে কিছু পদক্ষেপ।
ব্যায়ামের সময় যদি হৃদয়ন্ত্রে ব্যথা বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে, ব্যায়াম তখনই বন্ধ করা উচিত।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ইত্যাদি রোগে ভুগলে যুবকদের জিমে অতিরিক্ত পরিশ্রম না করার জন্য আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ বিপেনচন্দ্র ভামরে বলেন, “খুব বেশি পুনরাবৃত্তি করা, অতিরিক্ত ওজন থাকা, কোনও বিরতি ছাড়াই দৌড়ানো এবং দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।”
হার্ট অ্যাটাক একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি। সাধারণত এটি ঘটে যখন একটি রক্ত জমাট বাঁধা হার্টে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। রক্ত ছাড়া, টিস্যু অক্সিজেন হারায় এবং মারা যায়। হার্টের কারণে অনেক ব্যক্তিত্যদের আমরা হারিয়েছি। যেমন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুকলা ৪০ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান । তেমনই আরও একজন টলিউডের জনপ্ৰিয় অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী ৫৭ বছর বয়সে হৃদরোগে মারা যান ।
কি করে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ?
বুকে, ঘাড়ে, পিঠে বা বাহুতে ব্যথা, সেইসাথে ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন এবং উদ্বেগ। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের অ্যাটিপিকাল লক্ষণগুলির সম্ভাবনা বেশি।
হার্ট অ্যাটাকের কারণে যেসব পরিবর্তনগুলি আসে সেগুলি হল, লাইফস্টাইল পরিবর্তন এবং কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন । পাশাপাশি শুরু হয় ওষুধ, স্টেন্ট এবং বাইপাস সার্জারিও করানো প্রয়োজন হয়ে পরে।
Leave a Reply