সুপার হিরোরা এবার সিলভার স্ক্রিন ছেড়ে ফুটবল মাঠে কেন? – এই প্রশ্নটা শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। ব্যাটম্যান কিংবা সুপারম্যানরা এবার বিশ্বকাপে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শুনবেন তাঁদের আসল নামগুলো?
এবার বিশ্বকাপে দাপট দেখিয়ে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই দলের হিরো সন হিয়াং-মিন তিনি এই মাস্ক লাগিয়ে প্রতি ম্যাচে খেলতে নামছেন। পর্তুগাল – দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচে এই হিয়াং-মিনকে দেখা যাচ্ছিল, মুখের সেই মাস্ক মাঝে মাঝেই ঠিক করছেন। শুধু কি এই মাস্ক পরে দর্শকদের নজর কাড়া? দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিয়াং-মিন যে কালো মাস্কটি পরে খেলছেন – তাতে তাঁর চোখের চারপাশ ঢাকা থাকছে। আর নাকটি ঢাকা। এগুলো নাকি চোখ দুটি আর নাকটি বাঁচানোর ব্যবস্থা।
পয়লা নভেম্বর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ ছিল। টটেনহ্যাম আর মার্সেইলে লড়তে নেমেছিল। টটেনহ্যাম ম্যাচ জিতেছিল। এই দলের হয়ে ৩০ বছরের দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিয়াং-মিন খেলতে নেমেছিলেন। তখন মাস্ক ব্যবহার করতেন না। সেই ম্যাচেই চোখে আঘাত পান। এমন চোট যে, তা সারাতে টেনশনে ছিলেন। তারপর কাতারে খেলতে নামেন। মেডিক্যাল সায়েন্সের
সাহায্য নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার হিয়াং-মিন মাঠে নামছেন। সারাক্ষণ এই কালো মাস্ক মুখে আটকে রাখছেন। পর্তুগালকে ২-১ ম্যাচে হারিয়ে তাঁর দল পরের পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ে বিপক্ষে সন মাস্ক মুখে লাগিয়ে খেলতে নেমেছিলেন।
ম্যাচের পর সন প্রচার মাধ্যম প্রতিনিধিদের বলেছেন, তিনি খুশি এই মাস্ক পরে। ‘এই মাস্ক লাগিয়ে আমি স্বস্তিতে খেলে যাচ্ছি।’ শুধু সন নন, এমন প্রটেক্টিভ মাস্ক পরে মাঠে খেলতে নেমেছেন আরও অনেকে।
ক্রোয়েশিয়ার জাস্কো ভারদিলো এই ফেস মাস্ক লাগিয়ে খেলেছেন। জার্মানিতে আরবি লেইপজিং ক্লাবের হয়ে খেলার সময় মাথায় চোট পান। তাতে নাক আর চোখে সমস্যা দেখা দেয়। সেটা সামাল দিয়ে খেলতে নেমে এই মাস্ক ব্যবহার করেন। এই জার্মানিতে এফসি কোলনের হয়ে ক্লাব ম্যাচ খেলেন তিউনিসিয়ার এলয়েস সখিরি। অক্টোবরে তাঁর চোখের নিচের হাড় ভেঙে যায়। তাই তিনিও নাক আর মুখের পাশটি বাঁচাতে এই মাস্ক ব্যবহার।
ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেইরনভান্ডকে দেখা গেছে, অনুশীলনের সময় মাস্ক পরে থাকতে। কিন্তু ম্যাচে পরেন নি। এটার কারণ জানা গেছিল। ইরান গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচ খেলেছিল ইংল্যান্ডের সঙ্গে। সেই ম্যাচে তাঁর মাথায় চোট লাগে। ওয়েলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলের বিপক্ষে শেষ গ্রুপ ম্যাচ খেলেছিলেন, মাস্ক ছাড়াই! মুখের চোট থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্লেয়াররা আজকাল এই মাস্ক ব্যবহার করছে। হালে সন হিয়াং-মিনের মত মুখের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখেছি – হ্যারি কেন, রবার্ট লেওয়ান্ডোস্কি, ভিক্টর অসিমেন এবং সেরগিও রামসকে।
Leave a Reply