রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক: জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবনের যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম আলাপ হয়, সেই ঘরেই তৃণমূল, শিক্ষাবন্ধু সমিতির সংগঠন অফিস তৈরি করেছে বলে উঠেছে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি খুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে টাঙানো হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি। এই প্রসঙ্গে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। মামলার শুনানিতে, রাজ্যকে সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন ভাঙার কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরেও যদি রাজ্য একাজ বন্ধ না করে, তাহলে রাজ্যকেই জবাবদিহি করতে হবে- জানায় হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি, সুপ্রিম স্বস্তি হেমন্ত সোরেনের

ওই স্থান, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান। হেরিটেজ ভবন ভাঙা নিয়ে রাজ্যকে হলফনামার আকারে রিপোর্টও পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের হেরিটেজ ভবন, উল্লেখযোগ্য ভাবে কলকাতার প্রধান ঐতিহ্যগুলির মধ্যে পড়ে। সেই ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যপূর্ণ ভবনের ঘর অব্যবহৃত অবস্থায় রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই ঘর ভেঙেই তৃণমুলের তরফে চলছে নির্মাণ। সেই মামলার শুনানিতেই সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে, ঘর ভাঙার কাজের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: নদিয়া-সফরে মুখ্যমন্ত্রী, লক্ষ্য মতুয়া ভোট?

মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তীর দাবি, জোড়াসাঁকো ভবনের মত গ্রেড ওয়ান হেরিটেজের দুটি ঘর ভাঙা হচ্ছে। এটি মেনে নেওয়া যায়না। প্রথম শুনানির পর এই মামলায় হাইকোর্ট, রাজ্যকে হেরিটেজ ভবনের ঘর ভাঙার কাজে দিয়েছে স্থগিতাদেশ। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ২১শে নভেম্বর।