নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ভারতীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সূচনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে দেশে চালু হল 5G ইন্টারনেট পরিষেবা। দিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (IMC)-এর পক্ষ থেকে এই 5G ইন্টারনেট পরিষেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান চলবে ৪ দিন ধরে। 5G-এর সূচনার সঙ্গে সঙ্গেই 4G-এর তুলনায় ইন্টারনেটের গতি প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে।
5G পরিষেবার সূচনার পরে রিলায়েন্স জিও, ভোডাফোন-আইডিয়া এবং ভারতী এয়ারটেল তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। জিও-এর পক্ষ থেকে মুকেশ আম্বানি ও আকাশ আম্বানি ডেমো দেখিয়েছেন। মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং ওড়িশার তিনটি পৃথক এলাকার সঙ্গে 5G-এর সহায়তায় মুম্বইয়ের একটি স্কুল শিক্ষককে যুক্ত করে জিও। অগমেন্টেড রিয়েলিটিস (এআর) এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও এআর ডিভাইস ছাড়াই এর সহজ ব্যবহারের ছবি তুলে ধরেছে জিও।
অন্যদিকে, এয়ারটেলের ডেমোতে দেখানো হয়েছে, উত্তর প্রদেশের একটি মেয়ে কীভাবে হলোগ্রাম প্রযুক্তির সহায়তায় সৌরজগৎ সম্পর্কে জানতে পারছে এবং তাঁর অভিজ্ঞতাও তুলে ধরা হয়েছে। ভোডাফোন-আইডিয়া দিল্লি মেট্রোর ভূগর্ভস্থ টানেলের মানুষদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি ডেমো দেখিয়েছে। কীভাবে শ্রমিকদের ভিআর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করা যায় তা দেখানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৩০ কোটি ভারতীয়দের জন্য 5G পরিষেবাকে একটি দুর্দান্ত উপহার হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের দরজায় একটি নতুন যুগের সূচনার কড়া নাড়ছে এই পরিষেবা। নতুন ভারত শুধুমাত্র প্রযুক্তির গ্রাহক হিসেবে থাকবে না, ভারত সেই প্রযুক্তির বিকাশ ও বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। ভবিষ্যতের ওয়্যারলেস প্রযুক্তির নকশা তৈরিতে ভারতের একটি বড় ভূমিকা থাকবে।
2G, 3G, 4G-এর সময়, ভারত প্রযুক্তির জন্য অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু 5G পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারত একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশের সব শহরে 5G নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক পরিষেবা দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা এবং চেন্নাই সহ সমস্ত মেট্রো শহরে উপলব্ধ হবে। যদিও আগামী বছরের শেষ নাগাদ সর্বভারতীয় স্তরে প্রসারিত হবে এই পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকেই বৃষ্টির পুজো পরিক্রমা! আবহবিদদের পূর্বাভাসে চিন্তায় রাজ্যবাসী
Leave a Reply