পূর্ণেন্দু ব্যানার্জি– ভারত মহাসাগরের বুকে এক বিন্দুর দেশ। পুরাণগাথার দেশ। মহাকাব্যের দেশ। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের দেশ। লঙ্কা, শ্রীলঙ্কা, সিংহল।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, প্রায় ২৬ বছর ধরে এই দেশটা জর্জরিত হয়েছিল এক গৃহযুদ্ধের জেরে। ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে কিছু চরিত্র ও কিছু ভয়ঙ্কর নাম। তার মধ্যে অন্যতম ভেল্লুপিল্লাই প্রভাকরণ এবং তার সংগঠন এল টি টি ই।
আসুন দেখা যাক এই গৃহযুদ্ধের উৎস কোথায়?
সম্রাট অশোকের পুত্র অরহন্ত মাহেন্দ্র সিংহল দ্বীপে যান বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে। তার পর থেকে ধীরে ধীরে লঙ্কাতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার বাড়তে থাকে। বিংশ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জনসংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ দাঁড়ায়।
পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে শ্রীলঙ্কায় মূলত দুটি গোষ্ঠী ছিল, তার মধ্যে এক তামিল এবং দ্বিতীয় সিংহলী। তামিলদের অবস্থান মূলত দেশের উত্তর এবং পূর্বে। ধর্ম হিন্দু, প্রধান ভাষা তামিল, জনসংখ্যার নিরিখে ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে সিংহলীরা ছিল দেশের দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে। ধর্ম বৌদ্ধ (থেরাভারা ধারার) প্রধান ভাষা সিংহলী। জন সংখ্যা ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ। তামিলদের প্রধান অবস্থান ছিল উত্তরে জাফনা, এখানে জাফনা সাম্রাজ্যের বিস্তার হয়েছিল এবং পূর্বে ছিল ক্যান্ডি সাম্রাজ্য। ব্রিটিশরা ভারতসহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আসার পরেই, শ্রীলক্ষায় তারা কব্জা জমায়। এই সময় লঙ্কাতে তামিলরা সংখ্যালঘু থাকলেও, দেশের উচ্চপদস্থ পদে তামিলদেরই ব্যবহার করা হত। কারণ, তামিলরা ছিল উচ্চশিক্ষিত। ফলে সরকারি বিভিন্ন দফতরের আমলা পদে তামিলদেরই পছন্দ করতো ব্রিটিশরা।
১৯৪৮ সালে শ্রীলঙ্কা যখন ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়, তখন দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু হয়। সেখানেই দেশের ছোট বড় সমস্ত গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। দেশে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এক ব্যাপক বৈষম্য দেখা দেয়। সংসদীয় গণতন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও, তামিলরা সংখ্যালঘু থাকায় সংসদে ভালো মতো জায়গা দখল করতে পারেনি।
ফলত, সিংহলীরা সংসদে সংখ্যাগুরু হিসেবে থাকায় সরকারি নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে। সিংহলীদের সরকারি স্তরে বাড়তি জায়গা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এখানেই দ্বন্দের বীজ শুরু হয়।
আর বারুদের মধ্যে প্রথম স্ফূলিঙ্গ দেওয়া হয় ১৯৫৬ সালে। সরকারি ভাষা হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয় একমাত্র সিংহলী ভাষাকে। এর ফলে সরকারি পদে আসীন তামিলরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। কারণ ব্রিটিশ রাজ চলাকালীন ভাষা ছিল ইংরাজি, কিন্তু রাতারাতি এই পরিবর্তন আনায় বঞ্চিত হয়ে পড়েন তামিল নাগরিকরা। এমনকি পঠন পাঠনের ক্ষেত্রেও তামিলদের বদলে সিংহলীদের জন্য আসন সংরক্ষণ বাড়ানো হয়।
১৯৬০-৭০ নাগাদ অনেক তামিল ছাত্রছাত্রী স্কুল থেকে বেরনোর পরেও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। সরকারের নতুন নীতির জন্য। এই সময়ই তামিল সাহিত্য ও সংবাদমাধ্যমের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। শুরু হয় দ্বন্দ্বমূলক রাজনীতি। এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিংসার মাত্রা বাড়তে থাকে।
এখানে বলে রাখা যাক, ১৯৫৬ সালে সিংহলী ভাষাকে সরকারি ভাবে একমাত্র ভাষা বিবেচিত করায়, দেশে দাঙ্গা শুরু হয়। বহু ছোট খাটো দাঙ্গা হয়। যদিও ভাষা ও অধিকারকে ঘিরে বৃহত্তর যে আন্দোলন হচ্ছিল, তা শান্তিপূর্ণ ও অহিংসই ছিল। আর এই অহিংস আন্দোলন চলে প্রায় ২০ বছর।
দেশে একের পর এক সরকারি নীতিতে তামিলরা বঞ্চিত হতে থাকে। অহিংস অন্দোলনেও সুফল না মেলায় সত্তরের দশকে একাংশ তামিল নাগরিক সশস্ত্র আন্দোলনে পা বাড়ায়। বেশ কিছু সংগঠন তৈরি হয়, তার মধ্যে ১৯৭২ সালে গঠিত হয় এল টি টি ই। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে, তামিল ন্যাশানাল অ্যালায়েন্স বা টি এন এ।
তাদের দাবি ছিল, যেখানে তামিলদের সংখ্যাধিক্য রয়েছে সেখানে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হোক। আর এই দাবিতেই গড়ে ওঠে তামিল ডায়সপোরা। অর্থাৎ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তামিলরা সংঘবদ্ধ হতে শুরু করে। তাদের দাবিকে রূপায়ণ করতে ফান্ডিং করা হয়। আর এই পুরো টাকা আসতে থাকে সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য।
শ্রীলঙ্কা গৃহযুদ্ধে এক বড় রোল প্লে করেছিল এল টি টি ই। তাই সেই সম্পর্কে কিছু বলার দরকার, নয়তো গৃহযুদ্ধের ইতিহাসটা অধরা থাকবে। এই গ্রুপের প্রাধান ছিল ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ। এরা দলের পতাকার যে সিম্বল তুলে এনেছিল, তা ভারতের তামিলনাড়ুর চোল সাম্রাজ্যের ধ্বজার ছবি।
এদের গ্রুপের সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় ছিল, যাঁরা সদস্য ছিল, তাঁরা আদর্শগত ভাবে প্রচণ্ড মোটিভেটেড। এদের দাবি ছিল, সম্পূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্র। আগেই বলেছি, টি এন এ-স্বায়ত্ত শাসন চাইলেও, এরা চাইত আলাদা রাষ্ট্র। প্রভাকরণের এই সশস্ত্র গ্রুপ ছিল প্রচণ্ড অর্গানাইজ এবং শৃঙ্খলাপারায়ণ। যেভাবে সেনাতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, ঠিক সেই কায়দাতেই, গ্রুপের সদস্যদের প্রশিক্ষণ হত। এমনকি, আত্মঘাতী স্কোয়াডও তৈরি করা হয়েছিল।
৯০ দশকে এই গ্রুপের দাপট চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। অর্থাৎ দেশের উত্তর ও পূর্ব দিকে, প্রায় সমান্তরাল সরকার চালাতো, এল টি টি ই। এমন কি নিজস্ব কারেন্সি, ব্যাঙ্কিং, এয়ারফোর্স, নৌবাহিনীও তৈরি করে ফেলে। এয়ারফোর্সে রসদ কম থাকলেও, বাহিনী ছিল। পৃথিবীর মধ্যে এল টি টি ই এমন এক সংগঠন যাদের হাতে নিজস্ব নৌবাহিনী ছিল। এবং সাউথ ইস্ট এশিয়া সমুদ্রপথকে ব্যবহার করে নিজেদের জাহাজে অস্ত্র আমদানি করতো।
এল টি টি ই-র হামলায় গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকাণ্ডগুলির মধ্যে রয়েছে, ১৯৯১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। ১৯৯৩ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রণসিংহে প্রামাদাসা। এ ছাড়া ৭জন শ্রীলঙ্কার ক্যাবিনেট মন্ত্রী। এর পরে আসা যাক শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের ইলম যুদ্ধে। এই যুদ্ধের মূলত চারটি ভাগ রয়েছে। যুদ্ধে শুরু হয় ১৯৮৩ সালে, শেষ হয় ২০০৯ সালে।
১৯৭৬ সালে এল টি টি ই তৈরি হলেও, কোনও বড় ঘটনা ঘটায়নি বা ঘটাতে পারেনি। ১৯৮৩ সালে এল টি টি ই, ১৩ জন শ্রীলঙ্কার সেনাকর্মীকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। এর পরেই দেশে প্রায় দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। যার জেরে, প্রায় ৩০০০ তামিল নাগরিক মারা যান। সরকারও এল টি টি ই-র বিরুদ্ধে তেড়ে ফুঁড়ে ময়দানে নামে।
এর পরেই এল টি টি ই, কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। কারণ তিন হাজার তামিল নাগরিক মারা যাওয়ার সহানুভূতি তাদের পকেটে ছিল। ১৯৮৩ থেকে ৮৭ পর্যন্ত এই যুদ্ধে চলতে থাকে। এই সময়ই ভারতের গুপ্তচর বিভাগ, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা ‘র’, এল টি টি ই কে সমর্থন করতে থাকে। তাদের প্রশিক্ষণ থেকে, অস্ত্র সরবরাহ, সবক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় ভারত। এদিকে, ভারতের তামিল এবং শ্রীলঙ্কার তামিলদের মধ্যে প্রাচীন একটা সাংস্কৃতিক সম্পর্কও ছিলই, তাই শ্রীলঙ্কায় বড় কোনও ঘটনা ঘটিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার জায়গাও ছিল ভারত।
১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের কাছে আবেদন করে। এল টি টি ই কে যেন সমর্থন করা না হয়। সেই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট জে আর জয়বর্ধনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেখানে ভারতের তরফেও বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।
১। তামিল ভাষাকে মর্যাদা দিতে হবে। ২। রাজ্যগুলিকে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। ৩। উত্তর ও পূর্ব এলাকাকে এক করে দিতে হবে, যাতে একই সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৪। ভারত শান্তি বাহিনী ফোর্স পাঠাবে। এরা শ্রীলঙ্কা সরকার আর এল টি টি ই-র মধ্যে শান্তি বজায় রাখবে।
চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পরেই, এল টি টি ই-কে আর কোনও সহযোগিতা করেনি ভারত। এর পরেই শ্রীলঙ্কার তামিলরা প্রশ্ন তুলতে থাকে, এখানে লড়াই, তাদের আর সরকারের মধ্যে, ভারত নাক গলাচ্ছে কেন? যদিও একমাত্র এল টি টি ই ছাড়া বাকি সমস্ত সশস্ত্র গ্রুপই আত্মসমর্পণ করে, ও ভারত-শ্রীলঙ্কা চুক্তি তারাও মেনে নেয়।
১৯৮৭ সালে ভারত শান্তি বাহিনী পাঠায়, ‘অপারেশন পবন’ নামে। তার উপরেই হামলা চালায় এল টি টি ই। যদিও ভারতীয় সেনা এল টি টি ই গোষ্ঠীকে জাফনা থেকে সরাতে সমর্থ হয়। ১৯৮৭ থেকে ৯০ পর্যন্ত অপারেশন পবন চলতে থাকে। ঠিক সেই সময়ে ভারতে এক রাজনৈতিক ডামাডোল শুরু হয়।
১৯৮৯ সালে রাজীব গান্ধী সাধারণ নির্বাচনে হেরে যান। ভারতে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, শ্রীলঙ্কায় সেনা মোতায়েন রাজীবের সিদ্ধান্ত ছিল। বেকার অর্থ অপচয় হচ্ছে, তাই শ্রীলঙ্কা থেকে সেনা সরিয়ে আনা হোক। এদিকে শ্রীলঙ্কাতেও একটা ক্ষোভ জমতে থাকে, শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন বছর ধরে ভারতীয় সেনা কী করছে? এর পরেই ভারত সেনা প্রত্যাহার করে।
১৯৯১ সালে ভারতে সাধারণ নির্বাচন, সেই সময় রাজীবের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। এল টি টি ই আশঙ্কা করতে থাকে, রাজীব গান্ধী ফের ক্ষমতায় এলে, শ্রীলঙ্কায় পুনরায় শান্তি বাহিনী জায়গা নেবে। তাই, তাঁরা রাজীবকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তা সম্পন্নও করে।
আরও পড়ুন- ভারতের এক নিষিদ্ধ গ্রাম, এখানে বিদেশী মহিলারা আসেন গর্ভবতী হতে
তারপরেও, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ হামলা চালায় এল টি টি ই। এর মাঝে শান্তি বৈঠক হলে, এই বৈঠককে বাহানা হিসেবে ব্যবহার করতো প্রভাকরণ। সে নিজেও জানতো, শান্তি বৈঠকে বসা একটা অজুহাত মাত্র, এই ফাঁকে অস্ত্র আমদানি আর প্রশিক্ষণ, কর্মী নিয়োগ জোর কদমে চলতো।
আরও পড়ুন- পুতুল দ্বীপ কেন ভয়ঙ্কর? রয়েছে এক বিয়োগান্ত কাহিনি
২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্যুইন টাওয়ারে হামলা চালায় আল কায়দা। বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। পাশাপাশি তারা জানিয়ে দেয়, বিশ্বজুড়ে যে দেশ সন্ত্রাসবাদের শিকার, তাদেরই সাহায্য করবে আমেরিকা। ফলে শ্রীলঙ্কাও বাড়তি জোর পায় এল টি টি ই-র বিরুদ্ধে লড়াই করার।
বিষয়টির আঁচ পেয়ে প্রভাকরণ বার্তা দিতে থাকে, আল কায়দার সঙ্গে তাদের গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে, তাদের লড়াই সরকারের বিরুদ্ধে, নীতির বিরুদ্ধে আর আল কায়দা লড়াই চালাচ্ছে নিজেদের ধর্মের নামে।
২০০২ সালে নরওয়ের মধ্যস্থতায় শ্রীলঙ্কা সরকার আর এল টি টি ই-র মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তি কাগজে হলেও, বাস্তবে অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘন চলছিলই। যদিও নরওয়ে চুক্তিতে স্বাধীন দেশের দাবি ছেড়ে, যুক্তরাজ্যের দাবি মেনেছিল প্রভাকরণ। পাশাপাশি বারবার এল ই টি ই অভিযোগ করছিল, অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন তারা নয়, সরকার করছে।
আরও পড়ুন- ভারতের এই সেই জায়গা, যেখানে বিয়ে করেছিলেন হনুমান
২০০৪ সালে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। বড় ভাঙন ধরে এল টি টি ই তে। প্রভাকরণের প্রায় ডান হাত করুণা গ্রুপ ছেড়ে সরকারের পাশে দাঁড়ায়। পাশাপাশি ২০০৪ সালে সুনামিও আছড়ে পড়ে শ্রীলঙ্কায়। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায়। এবং এল টি টি ই-র দখলে যে জায়গা ছিল, সেই জায়গাগুলি ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
২০০৫ সালে দেশের প্রসিডেন্ট নির্বাচন হন, মাহিন্দা রাজাপক্ষে। এই সময় বিদেশমন্ত্রীকে হত্যা করে এল টি টি ই। ২০০৬ সালে যুদ্ধ চরম রূপ নেয়। ২০০৮ সালে সেনা জোর বাড়াতে থাকে। ২০০৯ সালে পুরো এল টি টি ই দের এলাকা দখল নেয় শ্রীলঙ্কা সেনা এবং এনকাউন্টারে মারা যায় প্রভাকরণ। মারা যায় প্রভাকরণের স্ত্রী ও নাবালক পুত্রও।
Leave a Reply