কিডনিকে রোগমুক্ত রাখতে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করুন

ডেস্ক- আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র কিডনি। আর এটি অতি সহজে খারাপ হয় না। কিন্তু যখন খারাপ হতে শুরু করে, এর কোনও সিম্পটমও মেলে না। ফলে ৮০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পরেই এই যন্ত্র ভয়ঙ্কর লক্ষনগুলি দেখা দেয়। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে, সুষম খাবার যেমন প্রয়োজন, তেমনই শরীরচর্চা। আর যদি দেখেন, শরীরের কোনও সমস্যা কয়েক দিনের মধ্যে কমছে না, তাহলে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান।

আর ঘরোয়া পদ্ধতিতে টোটকা চালাতে পারেন নিজেরাই। কিডনি সুস্থ রাখতে যেগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

লেবুর রস: সমস্ত ধরণের সাইট্রাস ফলের মধ্যে, লেবুতে সর্বাধিক পরিমাণে সাইট্রেট থাকে। সাইট্রেট এমন এক উপাদান যা কিডনিতে পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়। অন্যান্য ফলের রসে অক্সালেট থাকে, যা কিডনির পাথরের অন্যতম প্রধান উপাদান এবং এতে কম সাইট্রেট থাকে, যে কারণে প্রতিদিন দুই লিটার জলে ২ আউন্স লেবুর রস পান করলে পাথরের গঠনকে নিয়ন্ত্রণ করে।

পানীয় জল: লিভার এবং মস্তিষ্ক সহ প্রতিটি অঙ্গের স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতার জন্য জল অপরিহার্য। প্রস্রাব তৈরিতে প্রদান ভূমিকা নেয় কিডনি। শরীরে অবাঞ্ছিত বা অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলিকে প্রাথমিকভাবে প্রস্রাব হিসাবে নির্গত করে দেওয়া হয়। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য, যথাক্রমে, দৈনিক প্রসাবের পরিমাণ হতে হবে ৩.৭ লিটার এবং ২.৭ লিটার। ফলে পরিস্রুত পানীয় জল নিয়মিত পান করতে হবে।

ডালিমের রস: ঘন ঘন আলসার এবং ডায়রিয়া সহ অসুস্থতা নিরাময়ের জন্য ডালিম ব্যবহার করা হয়। এটিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট কমায় এবং এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে সমৃদ্ধ। যা কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে। এটি আপনার প্রস্রাবে অ্যাসিডিটির মাত্রাও কমিয়ে দেয়। নিম্ন অম্লতার মাত্রা কিডনিতে পাথরে তৈরি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

রাজমা: কিডনিতে ছোট পাথর অপসারণ করতে ও কিডনিকে সুস্থ রাখতে রাজমা অন্যতম সহায়ক। রাজমার গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলিও ওজন কমাতে সহায়তা করে। বিনস, রাজমায় প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং এতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবারের মিশ্রণ রয়েছে যা আপনার পাচনতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর। মটরশুটিতে উপস্থিত ভিটামিন বি, কিডনির পাথর দ্রবীভূত করতে এবং ফ্লাশ করতে সাহায্য করে। আপনি কিডনি বিনের ঝোল বা রাজমা আপনার ডায়েটে যোগ করতে পারেন।

গ্রিন টি: গ্রিন-টি নির্যাস ক্যালসিয়াম অক্সালেটের সাথে মিলিত হয়। গ্রিন টির সহায়তায় কিডনিতে পাথরে ক্রিস্টালাইজ হয় না। ফলে ক্ষুদ্র পাথরগুলিকে গলাতে সাহায্য করে এবং সহজেই প্রস্রাব থেকে সরানো হয়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করা দীর্ঘ সময়ের জন্য কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে বলে মনে করেন গবেষকেরা।


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *