সুখী দেশ নয় ভারত, আপনি সুখে আছেন তো?

বিশেষ সংবাদদাতা- সুখে নেই ভারত। আপনি ভাবছেন শুধু আপনিই ভাল নেই? শুধু আপনার জীবনেই সুখ-শান্তি নেই? আছে একরাশ চিন্তা-স্ট্রেস, দুঃখ-কষ্ট, টেনশন? না। একেবারেই না। জানলে বোধহয় একটু শান্তিই পাবেন যে আসলে সুখে নেই গোটা ভারতই। দেশের প্রতিটা মানুষ, আপনার আশেপাশের প্রতিটা মানুষই আপনার মতই অসুখী।

সুখের সংজ্ঞা সকলের কাছে এক না হলেও রাষ্ট্রসংঘ কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে। ২০২২ সালে প্রকাশিত সেই তালিকায় ১৪৬ টি দেশের মধ্যে ১৩৬ নম্বরে জায়গা পেয়েছে ভারত। গত বছরের তুলনায় এবার তিন ধাপ ওপরে উঠেছে ভারত, গতবার ছিল ১৩৯ নম্বরে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে এই তালিকায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তানও। যদিও তারা গত বছর ১০৫ নম্বরে ছিল, এবার রয়েছে ১২১ নম্বরে। প্রবল আর্থ-সামাজিক সঙ্কট সত্ত্বেও ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে নেপাল(৮৪), বাংলাদেশ(৯৪) এবং শ্রীলঙ্কা(১২৭)। সুখী দেশের তালিকায় এবারও এক নম্বরে ফিনল্যান্ড। পঞ্চমবারের জন্য বিশ্বের সুখীতম দেশ হয়েছে ফিনল্যান্ড। তার পরে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন রয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ১৭ নম্বরে।

নানান সমীক্ষা এও বলছে, করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের এই অসুখী অবস্থা আরো বেড়েছে। আর্থিক কারণ, বন্দি জীবন, এসব নানা কারণে মানুষ অসুখী। চূড়ান্ত বেড়েছে স্ট্রেস। স্ট্রেস কমানোর উপায় হয়তো অনেকেরই জানা। তাও, এই অসুখী আবহে আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক, কী করলে স্ট্রেস দূরে রেখে ভাল থাকা যায়। কারণ, স্ট্রেস কমানো আর ভাল থাকা ভীষণ জরুরি। নাহলে মন তো বটেই, শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে নানা সমস্যা।

প্রথমেই জরুরি খাওয়াদাওয়ার কথা বলা। ভাল খাবারই শুধু নয়, পুষ্টিকর প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং ক্যালরি যুক্ত খাবার রোজকার খাবারের পাতে বাধ্যতামূলক। যার মধ্যে থাকতে হবে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ। নিয়মিত খেতে হবে এইসব খাবার। পেট খালি থাকলে বা শরীরে ক্যালরির অভাব হলে মেজাজ আরও বেশি খিটখিটে হবে। যা শরীর ও মন দুইয়ের পক্ষেই ক্ষতিকর।

এবার আসা যাক চটজলদি মুড ফ্রেশ করার কিছু টিপসে। স্ট্রেস বেশি হলে বাড়ির বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসা ভাল। হাঁটতে পারলে সবচেয়ে ভাল। এছাড়া সবচেয়ে মন খারাপের সময় নিজের পছন্দের কাজ করাই ভাল, তা গান শোনা হোক বা বই পড়া কিংবা সিনেমা দেখা। ইতিবাচক মানসিকতা রাখতে হবে। বেশি স্ট্রেস লাগলে কর্মব্যস্ততা থেকে একটু বিরতি নেওয়া উচিত। অন্য পরিবেশে যেতে পারলে তো খুবই ভাল হয়। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মনের যা প্রয়োজন তা করা উচিত। বেশিদিন এই মানসিক অস্থিরতা চলতে থাকলে সব ক্ষেত্রেই তার খারাপ প্রভাব পড়বে। তাই শরীর ও মন দুটোর একসঙ্গে যত্ন নেওয়া আজকের এই গতিময় জীবনে ভীষণ জরুরি।