এই গরমে আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে বন্দিপুর

একটাই জঙ্গল কিন্তু তিনটে রাজ্যে তিনটে নামে পরিচিত। কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং কেরল সীমান্তে অবস্থিত এই বিশাল জঙ্গল। কর্নাটকের অংশে এর নাম বন্দিপুর জাতীয় উদ্যান, তামিলনাড়ু অংশে এর নাম মুদুমালাই এবং কেরলের অংশে এর নাম মুথাঙ্গা তথা লোয়ার ওয়েনাড় জাতীয় উদ্যান। কর্নাটকের চামরাজনগর জেলায় অবস্থিত বন্দিপুর, ব্র্যাঘ্র প্রকল্পের অধীনে ১৯৭৩ সালে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বন্দিপুর যাওয়ার অনেকগুলি রাস্তা রয়েছে। কলকাতা থেকে আকাশপথে বা ট্রেনে বেঙ্গালুরু হয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এই জাতীয় উদ্যানে। আবার মাইসুরু হয়েও যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে কোয়েম্বাত্তুর যাওয়ার ট্রেন, বিমানও রয়েছে। সেখান থেকে বাস বা ট্যাক্সিতে পৌঁছনো যায় বন্দিপুর।

বন্দিপুর এবং মুদুমালাই পাশাপাশি দুটি অরণ্য। চাইলে মুদুমালাইতেও থাকা যেতে পারে। দুটি জায়গাতেই রয়েছে সরকারি রিসর্ট। বুকিং হয় অনলাইনে। তবে অনেক আগে থেকেই বুকিং করে রাখতে হবে, না হলে ঘর পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

বন্দিপুর জাতীয় উদ্যানের প্রধান বাসিন্দা হল হাতি। তবে বন্দিপুরে আলাদা করে ব্যাঘ্র প্রকল্পও রয়েছে। রয়েছে হাতি প্রকল্পও। মধ্যপ্রদেশের পর দেশের সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে কর্নাটকের এই জঙ্গলে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির সরীসৃপ, বাঁদর, বুনো মোষ, চিতল হরিণ। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রজাপতি আরও কত কী! কপাল ভাল থাকলে লেপার্ড, রয়্যাল বেঙ্গলেরও দেখা মিলতে পারে।