ভিনজাতের বিয়েতে প্রাণ যাচ্ছে মানুষের, উদ্বিগ্ন দেশের প্রধান বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক:  পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে অন্য জাতে বিয়ে করার কারণেই প্রতি বছর দেশে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। রবিবার এক সেমিনারে গিয়ে এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। আর এর পরেই ২০২২ সালে ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আবার নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

‘নৈতিকতা ও আইন শীর্ষক’ সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ১৯৯১ সালের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৫ বছরের এক কিশোরী বাড়ির বিরুদ্ধে গিয়ে তথাকথিত নিচু জাতের এক যুবককে বিয়ে করেছিল। কিন্তু তারপর পরিবারের লোক দুজনকেই পিটিয়ে মারে।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, অল্পবয়সি দুই জলজ্যান্ত ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে মারার পর ওই লোকজনের মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং তারা বুক বাজিয়ে বলেছিল, সামাজিক নৈতিকতার প্রেক্ষিতে তারা যা করেছে, বেশ করেছে।

আরও পড়ুন: পিসিকে খুন করে দেহ দশ টুকরো করল ভাইপো

ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কথায়, নৈতিকতা আর আইন দুটো আলাদা। দুইয়ের মধ্যে সমন্বয় করা একটা নিরন্তর প্রক্রিয়া। তাঁর কথায়, আইন বাইরে থেকে প্রয়োগ করা হয়। নৈতিকতা, মূল্যবোধ এগুলো হয় ব্যক্তি মানুষের ভিতর থেকে। যে কারণে ব্যক্তি বিশেষে নৈতিকতার সংজ্ঞা আলাদা।