ইউ এন লাইভ নিউজ: অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা শেষ হয়নি এখনও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর নির্বাচনী অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ইস্যুটিকে আদালতে নিয়ে যান তার দাবি ছিল বিজেপি নাকি বিধানসভার ফলাফল নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে কারচুপি করেছিল। যদিও তা এখনো পর্যন্ত বিচারাধীন। তবে এবার প্রথম সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ”নন্দীগ্রামে যে প্রতারণা হয়েছে, আজ নয়ত কাল তার বদলা আমি নেবই। কখন নেব, কীভাবে নেব, তা সময় ঠিক করবে।” চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রচারে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দাঁড়িয়ে মমতার এই আক্রমণাত্মক সুরে করা মন্তব্যকে একটা বড়সড় রাজনৈতিক বক্তব্য বলেই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
একুশের বিধানসভা কেন্দ্রে এক হাজারের সামান্য বেশি ভোটের ব্যবধানে নির্বাচন কমিশনের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণার ফলে এমন অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগণনার সময়ে লোডশেডিং করিয়ে সেই ফলাফল নিজেদের অনুকূলে নিয়ে এসে কারচুপি করে জিতেছে বিজেপি নইলে এমনটা হওয়ার কথা নয় কারণ সেখানে গণনার প্রথম রাউন্ড থেকে এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনকি তাঁর জয় নিশ্চিত ছিল বলেই দাবি তৃণমূল শাসক দলের । শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে তৃণমূলের তরফে প্রায়শয়ই বলা হয় ‘লোডশেডিং বিধায়ক’। এখনও চলছে নন্দীগ্রামের সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া মামলা। এর মাঝে একাধিকবার শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে সেই ফলাফল নিয়ে আক্রমণাত্মক সুরে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যর সমর্থনে হলদিয়ায় সভা করতে গিয়ে মমতা বলেন, ”নন্দীগ্রামে ডিএম বদলে, লোডশেডিং করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তার বদলা আমি নেবই। আমি ছাড়ব না।” ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা বদলের ডাক দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল, ‘বদলা নয়, বদল চাই।’ আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের ভোটের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মুখে শোনা গেল, ”বদলা নেবই।”
Leave a Reply