স্পোর্টস ডেস্ক: অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট চালু হোক – সরকারিভাবে প্রস্তাব চলে গেল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিলের (IOC) কাছে।
বহু বছর বাদে এই ভাবনা। সময়টা কম নয় – ১২৮ বছর পর! অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত যদি হয় ব্যাট – বলের লড়াই, তাহলে ছয় দলের ক্রিকেট হবে। বিশ্বকাপে যখন প্রতি টুর্নামেন্টে দলের সংখ্যা বেড়ে যায়, অলিম্পিকের জন্য মাত্র ৬ দলের পুরুষ ও মহিলাদের টুর্নামেন্টের প্রস্তাব দিয়েই খুশি আইসিসি (ICC)।
অলিম্পিকে (Olympic) কি সত্যিই আবার জায়গা করে নিতে চলেছে ক্রিকেট? ভারত – অস্ট্রেলিয়া – ইংল্যান্ডকে নিয়ে বিশেষ কমিটি বানিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই নিয়ে ওয়ার্ম আপ সারছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থাটি। এখনও পর্যন্ত সবুজ সংকেত মেলেনি। কিন্তু আইসিসি ( ICC) এই ইস্যু নিয়ে বিস্তর তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে পরিকল্পনা মাফিক যদি সব ঠিকঠাক চলতে থাকে তাহলে ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে আবারও পদকের জন্য হতে পারে ২২ গজের লড়াই।
সকলেরই জানা, ২০২৮ সালে অলিম্পিকের (Olympic 2028) আসর বসতে চলেছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসে। এখানেই সুযোগ আসতে পারে ক্রিকেটের। এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির সঙ্গে একমত হয়ে আয়োজক দেশের কমিটি চায় ক্রিকেটকে।
কিন্তু কী ধরনের ব্লু প্রিন্ট বানানো হয়েছে আইসিসির তরফে? অলিম্পিকে নাকি সুযোগ পেলে খেলার সুযোগ পাবে – ৬টি পুরুষ ও ৬টি মহিলা দল। এই ভাবনা নিয়েই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কাউন্সিলকে (IOC) প্রস্তাব দিয়েছে আইসিসি।
প্রশ্ন হল, যদি অলিম্পিকে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয় তাহলে এই ৬ টি দল বাছাই হবে কি করে ? সেখানে ভারত সুযোগ পাবে ? এই বাছাই পর্ব নিয়ে আইসিসির ভাবনা হল , টি টোয়েন্টি রাঙ্কিংয়ের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রথম থেকে যে ৬টি দল থাকবে, তারাই খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। এমন প্রক্রিয়া হলে, ভারতের খেলার সুযোগ প্রবল বলেই আশা করা যায়। জানা গেছে, আইসিসি প্রস্তাবে আছে পুরুষ ও মহিলা দলের টুর্নামেন্ট আলাদা আলাদা সময়ে হবে। সমানভাবে গুরুত্ব মিলবে মেয়েদের টুর্নামেন্টও।
যে যে দল সুযোগ পাবে, তাদের দল গড়তে হবে কিভাবে?
এই পদক জয়ের জন্য যে লড়াই হবে তাতে প্রত্যেক দল ১৪ জন করে ক্রিকেটারদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবে। ৬টি দলকে দুটি গ্রুপে রাখা হবে। দুটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের জন্য চারটি দল জায়গা পাবে। অর্থাৎ দুটি গ্রুপ থেকে একটি করে দল বাদ যাবে। সেমিফাইনালে যে দুই দল জিতবে তারা সোনার পদকের লড়াইয়ে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামবে। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল ব্রোঞ্জ পদকের জন্য লড়াই করবে।
এরই মধ্যে, ২০২৮ সালে অলিম্পিক আসরে ২৮টি খেলার অনুমতি পেয়েছে। নুতন ন’টি খেলা আছে প্রস্তাবে। আছে সেখানে কিক বক্সিং, স্কোয়াশ এর সঙ্গে আছে ক্রিকেটও। সবুজ সংকেত পেতে চলেছে ক্রিকেটও। তবে চূড়ান্ত চিত্রটি কি , এখনও তা ঘোষণা হয়নি। এর একটাই কারণ, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বৈঠকে এসব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে ১৯০০ সালে প্যারিস অলিম্পিকে ক্রিকেট ছিল। সেই টুর্নামেন্টে সোনা জিতেছিল ইংল্যান্ড। যদি যেভাবে আঁটঘাট বেঁধে আইসিসি পদক্ষেপ করে চলেছে, তাতে আবার ১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ক্রিকেটে পদক জয়ের লড়াই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে।
ছবি: সৌ টুইটার।
Leave a Reply