দীপঙ্কর গুহ:
আপনি বড় ফুটবল ফ্যান? শরীর খারাপ হয়েছে বলে অফিসে না গিয়ে ম্যাচ দেখবার ছক কষছেন? এমনটা করতে গেলে বেজায় বিপদ। আপনার চাকরিটি নিমেষে চলে যেতে পারে। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে হলে সেই দেশের ফ্যানরা কী করবেন?
বেজায় বিপদ তাঁদের। বৃহস্পতিবার রাতে আর শুক্রবার সকালে প্রত্যেকের মেলে আসছে লিগ্যাল নোটিশ। একরকম সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ম্যাচ দেখার সিক লিভ আপিল করলে, বা অসুস্থতার বাহানা বানিয়ে অফিসে না গেলে চাকরি চলে যেতে পারে।
ইংল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ কাতারের বিপক্ষে খেলতে নামবে ২১ নভেম্বর। এমন সময় খেলা যখন ব্রিটিশ দেশে কাজের দিনে মাঝ পর্ব। বিভিন্ন কোম্পানির আইনবিদরা ফুটবলপ্রেমী স্টাফদের এই নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছে।
সেখানে ২০০০ জন এমন ফুটবল ফ্যানদের মধ্যে বিশেষ মতগ্রহন করা হয়। সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্রিটিশ ফ্যান বলেছেন, কোম্পানির আইনজীবীরা কর্মীদের অনুরোধ করেছে, কোনওভাবেই শরীর খারাপের বাহানা দেখিয়ে অফিস না করলে চাকরী যেতে পারে।
ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচ ইরানের সঙ্গে। সেই ম্যাচে ইরানের বাজির দর ৫০০/১ ( ট্রফি জয়ের দৌড়ে)। আর ইংল্যান্ডের দর ৮/১ । সেই ম্যাচ ব্রিটেনে দেখা যাবে ম্যাচটি বেলা দেড়টার সময়। দিনের অফিস টাইমের মাঝামাঝি সময় এটা।
এমন হুঁশিয়ারিতে কয়েক কোটির দেশ ইংল্যান্ডের ৩.৩০ কোটি ফুটবল ফ্যান ম্যাচ দেখতে পারবে না! এঁদের মধ্যে তিনজন করে কর্মী যদি অসুস্থ বলে কাটিয়ে দেন , তাহলে ১.১কোটি মানুষ কাজকে বুড়ো আগুল দেখিয়ে ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখে ফেলবে।
ইস্যুটি মাথাচাড়া দিয়ে নানান কোম্পানি আর এইচ আর বেশ কিছু রাস্তা বাতলে দিয়েছে। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছে, কর্মীরা মালিকপক্ষকে বলে লাঞ্চ টাইম বাড়িয়ে নিতে পারে দেশের খেলা দেখতে। সেই সময়টা দিনের শেষে কাজ করে মিটিয়ে দিতে পারে। আর একটা রাস্তা হতে পারে , সংস্থাকে বলে – ইংল্যান্ডের ম্যাচ ডেতে ” ওয়ার্ক ফ্রম হোম” যদি করা যায়। আসলে সময়ের পার্থক্য থাকায় ইংল্যান্ডের অধিকাংশ ম্যাচ হতে যাচ্ছে দুপুরের সময়। সমস্যা তাই মাথাচাড়া দিয়েছে।
এসবেও যদি না হয় , তাহলে অ্যানুয়াল লিভ নেওয়া যেতে পারে – সিক লিভ নয়। আসলে ২০২০ সালে ইউরোপীয়ান ফুটবল লিগের সময় এক মহিলা ফ্যান নিজে অসুস্থ বলে, ম্যাচ দেখতে মাঠে চলে যান। ইংল্যান্ড – ডেনমার্ক ম্যাচ দেখেন মাঠে বসে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।
মুশকিল হচ্ছে ব্রিটিশ ফুটবল ফ্যানরা শুধু বসে বসে ম্যাচ দেখে না। অ্যালকোহল নিয়ে তারা ম্যাচ দেখতে বসে। এবার এখানেই সমস্যা। এই গরম পানীয় খেয়ে আবার অফিস ফিরে কাজ করতে বসা অনেক সময় কষ্টকর হয়। অন্যদের সঙ্গে মিলিয়ে চলা সমস্যার হয়।
মহা ফাঁপরে ব্রিটেনের ফুটবপ্রেমী চাকুরীজীবীরা। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে কী হয় দেখা যাক।
Leave a Reply